আওয়ার ইসলাম ডেস্ক:।। হাতে কোরআন লেখার বিষয়ে শনিবার মুঠোফোনে জারিন তাসনিম দিয়া বলেন, করোনায় ঘরবন্দি হয়ে কিছু একটা করার কথা ভাবছিলাম। চারিদিকে মৃত্যু, একটা ভয় কাজ করছিল। তখনই ভাবনায় আসে এমন কিছু করব যা পরকালের পাথেয় হয়ে থাকে। সেই ভাবনা থেকেই সাহস করে আরবি হরফ লেখা চর্চা করি। আমি মাদ্রাসায় পড়িনি কখনো। তবে আরবি হরফ লিখতে ও পড়তে জানতাম।
সেই শিক্ষাকেই আরো বেশি এগিয়ে নিয়ে কোরআনের একটি একটি করে শব্দ লিখেছি। সম্পূর্ণ কোরআন লিখতে আমার দেড় বছর সময় লেগেছে। আমি এই কোরআন শরীফ ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে দেব। কোনো ভুল হলো কি না তারা সেটা সার্টিফাই করে আমাকে দিলেই এর কয়েকটি কপি বের করব। বিভিন্ন মাদ্রাসায় দেব।
টানা দেড় বছরের প্রচেষ্টায় তিনি কোরআন শরিফের ৩০ পারাই হাতে লিখেছেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য তিনি।
ফেসবুকে জারিন তাসনিম লেখেন, ‘ক্ষুদ্র জীবনে মানুষের অনেক শখ থাকে। অসম্ভবকে সম্ভব করে। ছোটবেলা থেকে আমারও একটি বড় শখ ছিল পবিত্র কোরআন শরীফ (৩০ পারা) হাতে লিখব। আর আজকে সেটি সম্ভবপর হয়েছে। বিগত দেড় বছরের প্রচেষ্টায় আজ আমি সার্থক। বিগত ২০২০ সালের এই করোনাকালীন সময়ে আমরা যখন সবাই ঘরবন্দি তখন থেকেই আমার এই উদ্যোগ শুরু হয়। লেখা শেখাটাই তখনই। আর আমি কোনো মাদ্রাসার শিক্ষার্থীও ছিলাম না। ওই যে বললাম, ইচ্ছে থাকলে আর ধৈর্য থাকলে সবই সম্ভব হয়। আমার জীবনের সেরা অর্জন এই হাতে লেখা পবিত্র কোরআন শরীফ (৩০ পারা)।
কিছু অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। লাখ লাখ শুকরিয়া মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে। তিনি চেয়েছেন বলেই আমার পক্ষে সম্পূর্ণ কোরআন শরীফ হাতে লেখা সম্ভব হয়েছে। আমি চাই আমার হাতে লেখা এই পবিত্র কোরআন শরীফের কিছু কপি করে সেটা বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় দিতে। সেটা যেন আল্লাহতায়ালা কবুল করেন। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন।’
জারিনের এই স্ট্যাটাসের পর ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা তার কাজের প্রশংসা করছেন। স্ট্যাটাসটি দেওয়ার পর এক ঘণ্টার মধ্যেই ২৬০০ এর বেশি রিয়েক্ট জমা পড়েছে। শেয়ার হয়েছে ১১৭টি।
-এটি
 
                              
                           
                              
                           
                         
                              
                           
                        
                                                 
                      
                                                  
                                               
                                                  
                                               
                                      
                                         
                                      
                                         
                                      
                                        