শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫ ।। ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ৩০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
যেসব আমলে নবীজি সা. এর স্বপ্ন দর্শনের আশা করা যায় দিঘলিয়ায় হাতপাখা প্রতীকের উঠান বৈঠক ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫: বিশ্লেষণ ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ নামধারীদের বিরুদ্ধে উলামায়ে কেরামের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: জাতীয় উলামা কাউন্সিল গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা চট্টগ্রামে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে গাড়ি ছিটকে পড়ে পথচারী নিহত, আহত ৪ দক্ষিণ বাসাবো বালুর মাঠে শুরু হলো জাতীয় তাফসীরুল কুরআন মাহফিল আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে আন্দোলনরত ৮ দলের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে আংশিক পরিবর্তন বিশ্ব পাইলস দিবস : কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে জটিলতা—সমাধানে সচেতন ও পরিকল্পিত জীবনধারা

দাম্পত্য জীবনে কলহ এড়াতে নারীদের ৮ করণীয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সবার বেড়ে ওঠা একরকম হয় না। এক একজনের অভ্যাস, খাওয়া দাওয়া হয় একেকরকম। কেউ দুপুর দেড়টার মধ্যে দুপুরের খাবার সেরে ফেলেন। কারও আবার সেদিকে খেয়াল থাকে না। কারও রাগ জাগার অভ্যাস, কারও আবার ভোরে ওঠার অভ্যাস আছে। বিয়ের পর তাই শ্বশুরবাড়িতে মানিয়ে নিতে প্রথমদিকে অনেক মেয়েরই সমস্যা হয়।

সম্পর্ক রক্ষার সহজ সূত্র হল সমঝোতা। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির ক্ষেত্রে সবসময় এই সূত্র নাও মিলতে পারে। সেক্ষেত্রে একটু বুঝে আর বুদ্ধি খাটিয়ে চলতে পারলে দুপক্ষই ভালো থাকতে পারবেন। এ ব্যাপারে কিছু পরামর্শ মেনে চলতে পারেন। যেমন-

১. বিয়ের পর স্বামী আপনার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেউ হবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে আপনার প্রতি তার সমর্থন কতটা রয়েছে সেটা ভালো করে বুঝে নিন।

২. প্রথম থেকে ছোটখাটো সমস্যায় স্বামীকে জড়াবেন না। যার সঙ্গে আপনার সমস্যা তার সঙ্গে নিজেই কথা বলে মিটিয়ে নিন। আপনি কী চাইছেন সেটাও কিন্তু নিজেকেই ঠিক করে নিতে হবে।

৩. সমস্যা হলে সরাসরি কথা বলুন। কোনও মাধ্যম রাখবেন না। এতে সম্পর্ক অযথা জটিল হবে না।

৪. স্বামীর সঙ্গে সমস্যা হলেও তা নিজেদের মধ্যে রাখুন। বাইরের কাউকে তার মধ্যে জড়াবেন না। কিংবা আপনার যে কোনও রকম সমস্যা হয়েছে তাও বলবেন না। এতে দুজনেরই সম্মান বজায় থাকবে। প্রয়োজনে একে অপরকে পাশেও পাবেন।

৫. অযথা মাথা গরম করবেন না। বরং মাথা ঠান্ডা রেখে সব কিছু বিচার বিবেচনা করুন। মাথা ঠান্ডা থাকলে বুদ্ধি দিয়ে অনেক সমস্যাই মেটাতে পারবেন।

৬. কেউ কড়া কথা বললে রেগে বা চুপ করে না থেকে জবাব দিন। কিন্তু সেটা শান্তভাবে। কঠিন বা শক্ত কথা বলবেন না।

৭. প্রথম থেকেই ধরে নেবেন না যে শাশুড়ি খারাপ। বরং তার সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, তিনিও কিন্তু আপনার সঙ্গে মানিয়ে নিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিনে ছোট খাটো উপহার দিন, একসঙ্গে কোথাও ডিনারে যান, মাঝেমধ্যে ঘুরতে যান। এতে দেখবেন একটা সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে।

৮. সবার সঙ্গেই সম্পর্ক শ্রদ্ধার চোখে দেখুন। তিনি যেই হোক না কেন। কারোর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না। কারণ এদের সবার সঙ্গে আপনার মোটেই সবদিন দেখা হবে না। তবে কারোর জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী বা কোনও অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানাতে ভুলবেন না। প্রয়োজনে আপনি নিজেই ছোট করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেন।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ