বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ৯ পৌষ ১৪৩২ ।। ৪ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ফরিদপুর-৪ আসনে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন মাও. মিজানুর রহমান তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি গাজার ১৬ লাখ মানুষ গাজা থেকে সব সেনা সরাবে না ইসরাইল, বানাবে সামরিক ঘাঁটি পাক সেনাপ্রধানকে আজীবন দায়মুক্তি ইসলামি নীতির পরিপন্থী: মুফতী ত্বকী উসমানী  ২৭ ডিসেম্বর ঘোষণা হতে পারে ইসলামী ৮ দলের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা নাস্তিকদের হেদায়েতের জন্য একটি বই! চীন–বাংলাদেশ কৃষি সহযোগিতা গভীরতর করার কৌশলগত ভিত্তি হিসেবে সার বেফাকের নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও পাঠ্যপুস্তক এজেন্ট সম্মেলন  বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতার কারণ জানালো জমিয়ত আট দলের আসন সমঝোতা নিয়ে যা বললেন শায়খে চরমোনাই

তরুণদের মধ্যে বাড়ছে মোবাইল ‘সাইলেন্ট’ রাখার প্রবণতা: গবেষণা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: তরুণদের মধ্যে মোবাইল ফোন সাইলেন্ট করে রাখার প্রবণাতা বাড়ছে বলে নতুন গবেষণায় দেখা গেছে।

এতে দেখা যায়, মানুষের মধ্যে বিশেষ করে তরুণরা রিংটোনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রিংটোন ডাউনলোড করার হার কমেছে এক–চতুর্থাংশ।

মোবাইল ফোন অ্যাপ বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান সেন্সর টাওয়ারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে রিংটোন-বিষয়ক অ্যাপ নামানোর হার ৪ বছরে কমেছে ২০ শতাংশ। ২০১৬ সালে যা ছিল ৪৬ লাখ, ২০২০ সালে এসে তা হয়েছে ৩৭ লাখ।

রিংটোনে মানুষের আগ্রহ কমার একটা বড় কারণ হলো তরুণদের মধ্যে মোবাইল সাইলেন্ট মোডে রাখার প্রবণতা বাড়ছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফকে এর সম্ভাব্য কারণ জানিয়ে কিছু বিশ্লেষক বলেছেন, তরুণেরা এখন বেশির ভাগ সময় মোবাইলেই কাটান। তাদের চোখ বেশিরভাগ সময় এমনিতেই ফোনের পর্দায় আটকে থাকে। কল বা এসএমএস এলে তারা সঙ্গে সঙ্গে জেনেও যান বলে আলাদা করে রিংটোন বেজে ওঠার দরকার পড়ছে না।

আরেকটি কারণ হলো ওয়্যারেবল বা পরিধেয় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে, নারীদের মধ্যে এটা বেশি। এমন গ্যাজেটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো স্মার্টওয়াচ। স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত থাকে এটি। নোটিফিকেশন এলে কবজিতে ভাইব্রেশন বা ডিভাইসের কম্পনেই টের পান ব্যবহারকারী, রিংটোনের প্রয়োজন পড়ে না।

যুক্তরাজ্যের সরকার অনুমোদিত নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকমের ২০১৭ সালের জরিপে দেখা যায়, ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের সিংহভাগ ফোনকলের বদলে বার্তা আদান-প্রদানে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

প্রতিবেদনে এ প্রজন্মকে বলা হয়েছিল ‘জেনারেশন মিউট’। এই বয়সীদের ৩৬ শতাংশ বার্তা আদান-প্রদানকেই যোগাযোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম বলে মনে করে। আর ফোনকল বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলেছে ১৫ শতাংশ।

‘মিলেনিয়াল’ প্রজন্মের মধ্যেও ফোনকলে আগ্রহ কমেছে। এ প্রজন্মের সবচেয়ে বয়সীরা ৪০ পূর্ণ করবেন এ বছর। মার্কিন এক জরিপে দেখা যায়, ৮০ শতাংশ মিলেনিয়াল খুদে বার্তা বা অনলাইনে যোগাযোগে বেশি স্বচ্ছন্দ। ফোনে কথা বলাটা তাঁদের কাছে ‘বুড়োদের’ কাজ বলে জানিয়েছে ইয়াহু নিউজ।

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ