শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


মণিপুরী মুসলিম ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনে নিজের জমি দান করলেন লিয়াকত মাস্টার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রফিকুল ইসলাম জসিম।।
নিজস্ব প্রতিবেদক>

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে মণিপুরী মুসলিম ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (বামডো) সংগঠনের কার্যালয় গড়ার সহযোগিতায় মণিপুরী মুসলমানদের কল্যাণে নিজের পিতা মরহুম শওকত আলীর নামে তার সম্পত্তি অংশ থেকে ৭.৫ শতাংশ জমি দান করেছেন ইসলামপুর ইউনিয়নের গোলেহাওর গ্রামের মাস্টার মোঃ লিয়াকত আলী ।

গত ১২ জুন (শনিবার) বামডো এর বার্ষিক সাধারণ সভায় সংগঠনের এর উন্নয়ন কর্মসূচি সম্পর্কে উপস্থিত সদস্যবৃন্দ আগামী দিনগুলোতে করণীয় বিষয়গুলোর উপর স্বতঃস্ফুর্ত ও গঠনমূলক আলোচনায় অংশগ্রহন করে লিয়াকত মাস্টার তার বক্তব্যে ৭.৫ শতক জমি দান করার কথা জানিয়েছিলেন।

তিনি দেখেছেন, ১৯৯৮ সাল বামডো সূচনালগ্ন থেকে সংগঠনটির স্থায়ী কার্যালয় না থাকা বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী কার্যালয়ের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। তার মনে এসব কষ্ট দেখে পিতার সম্পত্তি অংশ থেকে তিনি জমি দান করলেন। এ প্রসঙ্গে শিক্ষক লিয়াকত আলী বলেন, আমার বাবার স্মৃতি ধরে রাখার জন্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ‘বাংলাদেশ মণিপুরী মুসলিম ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বামডো এর কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত গড়ার জন্য জায়গা দান করছি৷ আমি সেই মহতী কাজের সূচনায় নিজেকে সম্পৃক্ত করার ইতিহাসের অংশ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছি।

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি বামডো এর কার্যনির্বাহী পরিষদের উদ্যোগে বাংলাদেশে মণিপুরী মুসলিম সম্প্রদায়েরা একটি কার্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে আমি তাদের উদ্যোগকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে সাধারণ সভা বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলাম। ‘সমাজের সবস্তরের কল্যাণে এটি ব্যবহার হবে। বামডো এর অফিস হিসাবে যাতে থাকতে পারে এবং সেখানে সামাজিক বিভিন্ন ধরণের মিটিং করতে পারে, সেই চিন্তা থেকে আমি জমিটি দান করেছি ।’

বামডো এর কার্যালয়ের জমি পেয়ে সভাপতি মোঃ নূর উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেকদের বক্তব্যে বলেন, জনাব লিয়াকত সাহেব কত বড় উপকার করেছেন, তা বলে বোঝানো যাবে না। মণিপুরী সম্প্রদায়ের দানশীল মানুষ লিয়াকত মাস্টার। সেই মণিপুরী মুসলমানদের মানুষের জন্য এই জমি দান করাটাই প্রমাণ করে যে এই জাতির প্রতি তাঁর ভালোবাসা-টান এখনো সতেজ।”

মণিপুরি মুসলমানদের নতুন প্রজন্মের শিশুদের সংস্কৃতি বিকাশ, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান শিক্ষার বিকাশ এবং বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের মধ্যে সম্মান প্রদর্শন সহ অন্যান্য একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে চেতানায় সাম্য, ন্যায়বিচার সমাজব্যবস্থায় গড়ার লক্ষ্যে বামডো সংগঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে মণিপুরী মুসলিমরা বিগত ২০০ বছর ধরে নিজস্ব সমৃদ্ধ সমাজ, সংস্কৃতি, ধর্ম-ভাষা ও নৃতাত্ত্বিক পরিচিতি নিয়ে এদেশের বৃহত্তর সিলেটে কমলগঞ্জ অঞ্চলে বেশিরভাগ জনসংখ্যা বসবাস করে আসছে। এদেশে বাঙালি ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিক জাতি গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে অরাজনৈতিক সেবামূলক সংগঠন বামডো। সংগঠনটির কার্যালয় নির্মাণের জায়গা দান পেয়ে খুশি বামডো নেতৃবৃন্দ ও এর সাথে সমগ্র মণিপুরি মুসলিমরাও তেমনই খুশি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ