বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

এক বৈঠকে বিনা ভুলে পুরো কুরআন শুনিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করলো হাফেজ যাকারিয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: এক বৈঠকে বিনা ভুলে পবিত্র কুরআনুল কারিমের পুরো ৩০ পারা তার উস্তাদকে শুনিয়েছেন মৌলভীবাজার নুরুল কুরআন মাদরাসার হিফজুল কোরআন বিভাগের ছাত্র হাফেজ শরীফ আহমদ যাকারিয়া।

প্রিয় ছাত্রের এ অনন্য দক্ষতায় অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে হাফেজ যাকারিয়ার উস্তাদ হাফেজ মাওলানা লোকমান আল মাহমুদ বলেন, ‘নামাজের সময়টুকু আর খাবারের সংক্ষিপ্ত বিরতি ছাড়া ফজরের পর থেকে টানা ১৭ ঘন্টায় পূর্ণ কুরআনুল কারিম শুনালো শরীফ আহমদ যাকারিয়া। হদর শুনেছি। গড়ে প্রতি পারায় ২৫ মিনিটের মতো সময় লেগেছে।

তিনি বলেন, তাকে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, খতম শুরু করলে শেষ হবার আগ পর্যন্ত কুরআন শরীফ আর দেখতে পারবে না। আর আমি মনে মনে নিজেকে শর্ত দিয়েছিলাম, নিজের হিফজ বা মুখস্তের উপর ভিত্তি নয়; বরং হারফান হারফান দেখে দেখে তার পূর্ণ কুরআন শরিফ শুনবো। আলহামদুলিল্লাহ সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

তিনি আরো বলেন, খতম শুরুর আগে যাকারিয়াকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, নির্ভুল শুনাতে পারবা তো? পূর্ণ আত্মবিশ্বাস ও সাহসের সাথে সে বলছিল ‘জ্বি ইনশাআল্লাহ্’। আমি মনে মনে ধরে নিয়েছিলাম, প্রতি দশে একটা লুকমা ক্ষমাযোগ্য। তবে ত্রিশ পারায় তিনের অধিক ভুল হলে এই খতম আর শুনা হবে না। নতুন করে আবার শুরু থেকে শুনাতে হবে। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য; যাকারিয়া আমাকে অবাক বিস্মিত করে দিয়েছে। পুরো কুরআন শরীফ বিনা ভুলে শুনেয়ে দিয়েছে। –না কোন শব্দ ভুল –না কোন ইয়াদের ভুল। ওয়াল্লাহি! ইন্না হাযা মিন ফাদলি রাব্বি! সম-স্ত প্রশংসা একমাত্র তাঁর, এই কুরআন যাঁর। যিনি তাওফিক দিয়েছেন কুরআন পড়ার, কুরআন ছুঁয়ার, কুরআন মুখস্ত করার। প্রশংসার যত শব্দ; যত বাক্য সবই তোমার তরে হে কুরআন নাযিলকারী!
শব্দ ভাণ্ডারের অক্ষমতা তুমি ক্ষমা করো হে পরওয়ারদিগার!

হাফেজ যাকরিয়ার শিক্ষক উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, যাকারিয়া আমার জীবনে প্রথম কেউ, যে পূর্ণ কুরআন শরীফ বিনাভুলে আমাকে শুনিয়েছে। দুনিয়া-আখেরাতের সমস্ত কল্যাণের দু’আ রইলো প্রিয় যাকারিয়ার জন্য। ফুলে ফুলে ভরে উঠুক তার জীবন নদী।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ