শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ ।। ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৭ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
দিবালোকে পাথর মেরে হত্যায় সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জমিয়তের মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি ছাত্র জমিয়তের মসজিদে ঢুকে খতিবকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা আলমডাঙ্গায় আল মাহমুদের জীবন ও সাহিত্য বিষয়ক আলোচনাসভা ঝিনাইদহে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিএনপি’র সমাবেশ ও বিক্ষোভ ‘চাঁদা না পেয়ে পাথর মেরে মানুষ হত্যায় পুরো জাতি স্তম্ভিত’ বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম যুগপূর্তি উৎসব ও দেয়ালিকা-ম্যাগাজিন প্রদর্শনী-২০২৫ নব্য হায়েনাদের তাণ্ডবে রক্তাক্ত বাংলাদেশ! পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যা: প্রতিবাদে উত্তাল ঢাবি পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যা: ২ জন রিমান্ডে

উট জবাই করে তার গোশত বন্টন করার সময় পরিমাণ কবরের পাশে বসে থাকার বিধান!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: প্রশ্ন: কোন মানুষ মারা গেলে তাকে দাফন দেওয়ার পরে তার কবরের পাশে এই পরিমাণ সময় বসে থাকা যে, একটি উট জবাই করে তার গোশত বন্টন করা যায়। এটা কি হাদিস দ্বারা প্রমানীত? সঠিক উত্তর জানালে উপকৃত হবো।

উত্তর: ফকিহগণ বলেন মৃত ব্যক্তির দাফন করার পর তার কবরের পাশে এই পরিমাণ সময় বসা, যেই পরিমাণ সময়ে একটি উট জবাই করে তার গোশত বন্টন করা যায়। এটা মুস্তাহাব। এই সময়ে কুরআন পড়া ও তার জন্য মাগফেরাত কামনা করা ও মুনকার নাকিরের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারে এজন্য দোয়া করা। যেমন, মৃতের মাথার দিকে দাঁড়িয়ে সুরা বা বাকারার শুরুর কিছু আয়াত ও শেষের কিছু আয়াত পড়া। এ ব্যাপারে হাদিস শরীফে বিস্তারিত আলোচনা এসেছে।

এক. হযরত উসমান রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, ‘নবিজি সা. কোন মাইয়্যাতকে দাফন করার পর তার কবরে পাশে কিছু সময় অপেক্ষা করে বলতেন, মুনকার নাকিরের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারে এজন্য তোমরা আল্লাহর কাছে তার জন্য দোয়া করো। কেননা এখন তার প্রশ্ন করা হবে।’ (সুনানে আবু দাউদ)

দুই, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. তিনি বলেন যে, আমি নবিজি সা.কে বলতে শুনেছি, যখন তোমাদের কারো মৃত্যু হয়, তখন তোমরা তাকে খুব তাড়াতাড়ি কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করো ও দাফন দেওয়ার পর তার মাথার দিকে দাঁড়িয়ে সুরা বাকারার শুরুর কিছু আয়াত এবং পায়ের দিকে দাঁড়িয়ে শেষের কিছু আয়াত পড়বে। ইমাম বাইহাকি রহ. বলেন সঠিক কথা হলো, এই রেওয়ায়েতটা মাওকুফ।
(শুয়াবুল ইমান মেশকাত শরিফ: ৯৪১)

তিন. হযরত আমর ইবনুল আস রা. মুমুর্ষূ অবস্থায় তার ছেলেকে বলেছিলেন, আমার যখন মৃত্যু হয়ে যাবে, তখন আমার জানাজার সাথে উচ্চস্বরে ক্রন্দন কারী এমন কোনো মানুষ যেন না যায়। আর যখন আমার দাফন দেওয়া শেষ হবে, তখন অল্প-অল্প করে মাটি দিবে। এর পরে আমার কবরের পাশে একটি উট জবাই করে গোশত বন্টন করতে যে পরিমাণ সময় লাগে ঐ সময় পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকবে। যাতে আমি তোমাদের কারণে শান্তিতে থাকতে পারি এবং আমি যেন জানতে পারি ফেরেশতার প্রশ্নে কি উত্তর দিচ্ছি। (মুসলিম শরিফ) সূত্র: আরমোগান বাংলা

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ