সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
দুর্যোগ কবলিত শ্রীলঙ্কায় ত্রাণসামগ্রী ও উদ্ধারকারী দল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ জোটবদ্ধ নির্বাচনে নিজ নিজ প্রতীকের বিধান কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা উন্নয়নের নামে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করেছে: মোহাম্মদ কামাল হোসেন বিশ্ব এইডস দিবস ২০২৫: অজ্ঞতা ভাঙলেই কমবে সংক্রমণের ঝুঁকি ‘আগামী নির্বাচনে ইসলামি শক্তির বিজয় নিশ্চিত করতে হবে’ তিন মাসে বয়ে যেতে পারে ৮টি শৈত্যপ্রবাহ জোড় ইজতেমার আখেরি মোনাজাত কাল সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আইয়ুব মিয়া জমিয়ত ঘোষিত প্রার্থীদের গণসংযোগ অব্যাহত রাখার নির্দেশনা আফগান যুদ্ধাপরাধ ধামাচাপা দিয়েছিল যুক্তরাজ্যের বিশেষ বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা

উট জবাই করে তার গোশত বন্টন করার সময় পরিমাণ কবরের পাশে বসে থাকার বিধান!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: প্রশ্ন: কোন মানুষ মারা গেলে তাকে দাফন দেওয়ার পরে তার কবরের পাশে এই পরিমাণ সময় বসে থাকা যে, একটি উট জবাই করে তার গোশত বন্টন করা যায়। এটা কি হাদিস দ্বারা প্রমানীত? সঠিক উত্তর জানালে উপকৃত হবো।

উত্তর: ফকিহগণ বলেন মৃত ব্যক্তির দাফন করার পর তার কবরের পাশে এই পরিমাণ সময় বসা, যেই পরিমাণ সময়ে একটি উট জবাই করে তার গোশত বন্টন করা যায়। এটা মুস্তাহাব। এই সময়ে কুরআন পড়া ও তার জন্য মাগফেরাত কামনা করা ও মুনকার নাকিরের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারে এজন্য দোয়া করা। যেমন, মৃতের মাথার দিকে দাঁড়িয়ে সুরা বা বাকারার শুরুর কিছু আয়াত ও শেষের কিছু আয়াত পড়া। এ ব্যাপারে হাদিস শরীফে বিস্তারিত আলোচনা এসেছে।

এক. হযরত উসমান রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, ‘নবিজি সা. কোন মাইয়্যাতকে দাফন করার পর তার কবরে পাশে কিছু সময় অপেক্ষা করে বলতেন, মুনকার নাকিরের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারে এজন্য তোমরা আল্লাহর কাছে তার জন্য দোয়া করো। কেননা এখন তার প্রশ্ন করা হবে।’ (সুনানে আবু দাউদ)

দুই, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. তিনি বলেন যে, আমি নবিজি সা.কে বলতে শুনেছি, যখন তোমাদের কারো মৃত্যু হয়, তখন তোমরা তাকে খুব তাড়াতাড়ি কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করো ও দাফন দেওয়ার পর তার মাথার দিকে দাঁড়িয়ে সুরা বাকারার শুরুর কিছু আয়াত এবং পায়ের দিকে দাঁড়িয়ে শেষের কিছু আয়াত পড়বে। ইমাম বাইহাকি রহ. বলেন সঠিক কথা হলো, এই রেওয়ায়েতটা মাওকুফ।
(শুয়াবুল ইমান মেশকাত শরিফ: ৯৪১)

তিন. হযরত আমর ইবনুল আস রা. মুমুর্ষূ অবস্থায় তার ছেলেকে বলেছিলেন, আমার যখন মৃত্যু হয়ে যাবে, তখন আমার জানাজার সাথে উচ্চস্বরে ক্রন্দন কারী এমন কোনো মানুষ যেন না যায়। আর যখন আমার দাফন দেওয়া শেষ হবে, তখন অল্প-অল্প করে মাটি দিবে। এর পরে আমার কবরের পাশে একটি উট জবাই করে গোশত বন্টন করতে যে পরিমাণ সময় লাগে ঐ সময় পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকবে। যাতে আমি তোমাদের কারণে শান্তিতে থাকতে পারি এবং আমি যেন জানতে পারি ফেরেশতার প্রশ্নে কি উত্তর দিচ্ছি। (মুসলিম শরিফ) সূত্র: আরমোগান বাংলা

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ