বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৭ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
এক লাফে ভরিতে ৮৩৮৬ টাকা কমল স্বর্ণের দাম জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াতে ইসলামী ১৮তম জাতীয় তাফসিরুল কুরআন মাহফিল ২০ ও ২১ নভেম্বর ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বিশ্বের প্রভাবশালী ইহুদিদের চিঠি  গণভোট নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে জটিলতা তৈরির অভিযোগ জামায়াতের ‘পাঁচ দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে’ জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞদের সাথে ঐকমত্য কমিশনের সভা শিশু-কিশোরদের সুরক্ষা দিতে ছয় দফা সুপারিশ চিকিৎসকদের  ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, কারাগারে অভিযুক্ত বুয়েট শিক্ষার্থী  ওআইসি সদস্য দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান উপদেষ্টা রিজওয়ানার

উইঘুর মুসলিমদের অমানবিক নির্যাতন করায় চীনা পণ্য নিষিদ্ধ করছে যুক্তরাজ্য

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের জোরপূর্বক কাজ করানোর মাধ্যমে যেসব পণ্য তৈরি হচ্ছে, সেগুলো আমদানি নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। শিগগিরই এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব ব্রিটিশ পার্লামেন্টে উপস্থাপন করবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব।

গত সোমবার ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবিসি জানায়, বছর দুয়েক ধরেই চীন-ব্রিটেন সম্পর্ক খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। বিশেষ করে চীনের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য গোপনের অভিযোগ এবং হংকংয়ের গণতন্ত্রকামীদের নিপীড়নের বিষয়ে ব্রিটেন সরব হওয়ায় ক্ষুব্ধ বেইজিং। জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর সম্প্রদায়ের সঙ্গে চীন সরকারের আচরণেরও কড়া সমালোচনা করেছে ব্রিটেন। সেখানে তুলা উৎপাদনে উইঘুরদের দিয়ে জোরপূর্বক কাজ করানোর প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ সরকার।

বিশ্বের প্রায় এক-চতুর্থাংশ তুলা উৎপাদন হয় জিনজিয়াংয়ে। সেগুলো জোরপূর্বক শ্রমে উৎপাদিত হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণে টেক্সটাইল শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো যথেষ্ট সচেতন নয় বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য। অবশ্য চীন বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এদিকে দ্য গার্ডিয়ান বলছে, শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সরবরাহ ব্যবস্থা পরীক্ষায় যথেষ্ট প্রচেষ্টা দেখাতে ব্যর্থ হলে জরিমানার প্রস্তাব উত্থাপন করতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে দ্য সান জানিয়েছে, ডমিনিক রাবের ওই প্রস্তাবে চীনের কথিত উইঘুরদের ‘কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ সংশ্লিষ্ট চীনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি থাকছে না।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতিতে বলা হয়েছে, চীনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের মূল্যবোধ এবং স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে, যেখানে উদ্বেগ রয়েছে, আমরা সেগুলো উত্থাপন করি এবং চীনকে এর জন্য দায়ী করি।

চীনের অন্যতম সমালোচক এবং কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক নেতা ডানকান স্মিথ ব্রিটিশ সরকারের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তার মতে, চীনের জন্য এ ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়। ওদিকে, লন্ডনে চীনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত লিউ জিয়াওমিং গত সপ্তাহে বলেছেন, যুক্তরাজ্য চীনকে অংশীদার নাকি প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবে, সেটা ওপরই নির্ভর করছে দু’দেশের সম্পর্ক। তিনি বলছেন, ব্রিটেনের আদালতের ওপর এখন বিষয়টি নির্ভর করছে। সূত্র: আল-জাজিরা, ইকনা

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ