শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


শীতে কবুতরের যতরোগ: সমস্যা ও সমাধান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাউসার লাবীব: শীতে কবুতর বিভিন্ন সমস্যাতে ভুগে থাকে। এরমধ্যে ডাইরিয়া, চোখ ওঠা, পা অবস বা পেরালাইসিস, কারন ছাড়া ঝিমানো, সর্দি-কাশিতে ঘরঘর করা ও মুখ হা করে শ্বাস নেয়া অন্যতম। তবে এসব সমস্যায় ভয় পাবার কিছু নেই। কিছু পরামর্শ মেনে চললে আপনার কবুতর থাকবে আপনার মনের মতো। যেমন-

এক- খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার কবুতরের খাদ্যে পরিমান মতো তৈলবীজ থাকে,যেমনঃ বাজরা, তিসি, সরিষা, কুসুমবীজ, সূর্যমুখী বিচি ইত্যাদি।

দুই- খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার খামার স্যাঁতস্যাঁতে নয়, শুকনো থাকে। আর এজন্য আপনাকে প্রয়োজন হলে বরিকপাউডার ছিটাতে হবে; আর সম্ভব হলে ছোট একটুকরা কাপড়, পেপার, বা চট মাটিতে বিছিয়ে দিতে পারেন।

তিন- নিয়মিত ক্যালসিয়াম দিতে হবে, সাথে ভিটামিন ‘ই’ দিন, কারণ ভিটামিন ‘ই’ যোগ না করলে ক্যালসিয়াম বেশিমাত্রায় শোষিত হবে না কবুতরের শরীরে। মাসে ৩-৪ দিন দিতে হবে, যদি গরম বেড়ে যায় তবে এর মাত্রা কমিয়ে দিন।

চার- মাসে ২/৩ দিন আলাদাভাবে রসুন বাঁটা ১ লিটার পানিতে ২ চা চামচ মিক্স করে ছেকে সাধারন পানির মতো সরবরাহ করে দিন। এতে আপনার কবুতর সাল্মনিল্লামুক্ত থাকবে ও শরীরও উষ্ণ থাকবে।

পাঁচ- যদি কৃমির ঔষধ খাওয়ানো থাকে তাহলে মধু যোগ করতে পারেন এর সাথে।

ছয়- ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স দিন ৩-৪ দিন মাসে ও মাল্টি ভিটামিন দিন ৩-৪ দিন মাসে।

সাত- Calceria Curb 30 , ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে দিতে হবে মাসে ১ বার। (রোগপ্রতিরোধ ও সর্দিকাশির জন্য)

আট- আক্রান্তক্ষেত্রে সর্দিকাশির জন্য Dulkamara 30, ৩ ফোটা করে অল্প একটু পানির সাথে করে দিতে হবে দিনে ৩/৪ বার। আক্রান্তক্ষেত্রে যদি সর্দিকাশির সাথে শরীর হালকা গরম থাকে, হা করে নিঃশ্বাস নেয়, তাহলে Rush Tox 30, ৩ ফোটা করে অল্প একটু পানির সাথে করে দিতে হবে দিনে ৩-৪ বার। আর নিয়মিত স্যালাইন দিবেন।

নয়- চোখে সমস্যার জন্য, যেমন- চোখে পেচুটি কাটা, চোখবন্ধ হয়ে যাওয়া, পানিপড়া ইত্যাদি কারনে cipro a or dexcholore eye drop দিতে হবে দিনে ৫-৬ বার। এছাড়াও Pulsetila 200, ৩ ফোটা করে অল্প একটু পানির সাথে করে দিতে হবে দিনে ২-৩ বার (যদি পুজ জমে ও চোখ বন্ধ হয়ে যায় তবে।) অথবা Merecurius Sol 30, ৩ ফোটা করে অল্প একটু পানির সাথে করে দিতে হবে দিনে ২ বার। ২-৪ দিন দিতে হবে। (যদি পানি পড়ে ও ফুলে থাকে)।

দশ- সর্দিকাশি, ডাইরিয়া ইত্যাদি ভাইরাস সংক্রামণ থেকে হয়, তাই অ্যান্টিবায়টিক কোন কাজে আসে না।

এগারো- কবুতরের জমানো খাবার ও গ্রিটে কোন মতেই যেন না ভেজে বা ফাঙ্গাস না ধরে, তাই অতিরিক্ত সাবধানতা হিসাবে হালকা গরম করে নিতে পারেন।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ