বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

বিকৃত 'স্লামালেকুম' নয় ; শুদ্ধস্বরে সালাম শান্তির প্রতীক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুফিয়ান ফারাবী
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট>

পৃথিবীতে নানা ধর্ম। নানা সংস্কৃতি। নানা সভ্যতা। প্রতিটি ধর্মে এবং সমাজে অভিবাদন জানানোর ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। কেউ সালাম, আবার কেউ নমস্কার -শব্দ ব্যবহার করেন।

সালাম এক প্রকার দোয়া। মুসলমানরা পরস্পর যখন একত্রে মিলিত হন তখন একে অপরকে সালাম দেন। অর্থাৎ একে অপরের শান্তি কামনায় দোয়া করেন।

সম্প্রতি ঢাকা ইউনিভার্সিটির একজন অধ্যাপকের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন, জঙ্গিবাদের লক্ষণ হলো শুদ্ধ করে সালাম দেয়া এবং বিদায়ের সময় আল্লাহ হাফেজ বলা।

ইসলাম ধর্মের সুন্দর এই রীতি নিয়ে মন্তব্য করায় বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবে নিয়েছেন দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ। সালাম দিকেই এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেক মানুষ। ফেসবুকে "আস-সালামু আলাইকুম" বলে লিখেছেন "আমি শুদ্ধ উচ্চারণে সালাম দেই এবং বিদায়ের সময় আল্লাহ হাফেজ বলি"- আমি কি জঙ্গী?

চলমান এ বিষয়টি নিয়ে আওয়ার ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডক্টর আ ফ ম খালিদ হোসাইন, কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ইমাম মাওলানা ইউসুফ নূর।

সালাম শান্তির প্রতীক: ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইন

মুসলমানদের পরস্পর ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি করতে, একে অপরের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি করতে, একটি শান্তির পরিবেশ তৈরি করতে বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত রাসূল সা. মুসলমানদেরকে সালাম দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বলা হয়েছে তোমরা অধিক পরিমাণে সালাম দাও। বিভিন্ন হাদীসে এসেছে সালাম জান্নাতে যাওয়ার একটি মাধ্যম। এমনকি জান্নাতবাসীরা পরকালেও একে অপরকে সালামের মাধ্যমে সম্মাননা প্রদর্শন এবং দোয়া করবেন।

সমাজের যাবতীয় কলহ, ঝগড়াঝাঁটি দূর হয় সালামের মাধ্যমে। সুতরাং আমরা যদি শান্তির সমাজ চাই, শান্তিময় পৃথিবী চাই, তাহলে ব্যাপকভাবে সালাম ছড়িয়ে দিতে হবে। সালামের উসিলায় আল্লাহ শত্রুতা নিঃশেষ করে দেন। ভ্রাতৃত্বের বন্ধন তৈরি করে দেন।

জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন: মাওলানা ইউসুফ নূর

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ। অথচ আমাদের দেশে প্রতিনিয়তই ইসলাম বিদ্বেষের চর্চা হচ্ছে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠান একজন প্রফেসরের সালাম নিয়ে ইসলাম বিদ্বেষের ভিডিওটি দেখে আমি মর্মাহত হয়েছি।

তিনি শিক্ষিত মানুষ। অথচ এতোটুকু জানেন না যে সালাম শব্দের অর্থই শান্তি। সালামের মাধ্যমে মুসলমানরা একে অপরের জন্য দোয়া করেন। শান্তির দোয়া করেন। এটা যদি জঙ্গিবাদের লক্ষণ হয়, তাহলে শান্তির বার্তা কোনটি?

দেশের বিশেষজ্ঞ ওলামায়ে কেরামের প্রতি আমার আহ্বান সেই প্রফেসরের সঙ্গে আলোচনা করে মূল বিষয়টি জানা। তিনি এমন কথা ইচ্ছে করেই বলেছেন, নাকি সালামের বিধান না জেনে এমন কথা বলেছেন। এই বিষয়টি তারা যাচাই করে বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরাম ফতোয়া প্রদান করবেন, এমত অবস্থায় তিনি কাফের হয়ে গেছেন কিনা, অথবা তার ওপর শরীয়তের হুকুম কী?

প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, তারা যেন এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করেন। যেহেতু সাংবিধানিকভাবে ধর্মবিদ্বেষ নিষিদ্ধ, সুতরাং যারা ধর্ম অবমাননা করছে অথবা ধর্মের বিধান নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করছে তাদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা দরকার। সবচেয়ে বেশি ভালো হয় মহামান্য আদালত থেকে কোন বিচারপতি যদি তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা চান। আদালতের কাছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের দাবি।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ