শনিবার, ৩০ আগস্ট ২০২৫ ।। ১৫ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
পাগলা মসজিদের সিন্দুকে রেকর্ড ১২ কোটি টাকা ইসলামিক ল' রিসার্চ সেন্টারের ২৭তম এজিএম অনুষ্ঠিত শাপলার চেতনা আগামীর বাংলাদেশের মাইলফলক: ইবনে শাইখুল হাদিস ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক শিক্ষকদের আমরণ অনশনের ঘোষণা ‘নুরের ওপর হামলায় দেশের নেতৃত্ব নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে ’ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবার নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে: মির্জা ফখরুল জুলাই আন্দোলনের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে : খেলাফত মহাসচিব ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের যেকোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করা হবে: ইসলামী আন্দোলন মহাসচিব শিক্ষার মানোন্নয়ন ও নববি মানস গঠনে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি: মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধের দাবি রাশেদের

রোহিঙ্গা গণহত্যা, আরও দুই সেনার স্বীকারোক্তি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রোহিঙ্গা গণহত্যায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততার স্বীকারোক্তি দিয়েছে আরও দুই সেনা সদস্য। আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমে ওই দুই সেনার আলোচিত জবানবন্দি প্রকাশের পর পাওয়া গেছে নতুন ভিডিও ফুটেজ। যাতে আগের দু’জনসহ একসঙ্গে চার সেনা সদস্যকে রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা দিতে দেখা যায়।

যে নতুন দুই সেনা সদস্য জবানবন্দি দেবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে। তারা হলেন- চ্যাও মিও অং এবং পার তাও নি। এর আগে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন জ নাইং তুন ও মায়ো উইন তুন।

চ্যাও মিও অং বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর ভয়াবহ নিপীড়ন চালিয়েছে সেনাবাহিনী। বাহিনীর মধ্যে জাতিগতভাবে বৈষম্য করা হয়। অনেক কর্মকর্তা মাদকাসক্ত। মাদকে পৃষ্ঠপোষকতাও রয়েছে তাদের।

পার তাও নি বলেন, তারা আমাদের (সেনা কর্মকর্তারা) বলতেন ভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সবাই দাস। তাদের সঙ্গে সে হিসেবেই ব্যবহার করতে হবে। সন্ত্রাসী বাহিনীর মতো অস্ত্র ব্যবহার করে বেসামরিক জনগণের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে সেনাবাহিনী।

এর আগে স্বীকারোক্তিতে মায়ো উইন তুন বলেছেন, মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে তিনি ও তার ব্যাটালিয়নকে পাঠানো হয়েছিল সেখানকার কয়েকটি গ্রামে অভিযান চালানোর জন্য।

তিনি ৩০ জন রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে গণহত্যায় অংশ নিয়েছিলেন। রোহিঙ্গাদের মরদেহ গণকবর খুঁড়ে পুঁতে দেন। একজন নারীকে ধর্ষণের কথাও স্বীকার করেছেন তিনি।

আরেক সেনা সদস্য জ নাইং তুন বলেছেন, তার ব্যাটালিয়ন প্রায় ২০টি রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে। এ পথে যে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের হত্যা করা হয়েছে।

তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ করেছে। এই দু’জনের বক্তব্যের ভিত্তিতে মানবাধিকার সংস্থা ফর্টিফাই রাইটস জানিয়েছে, তারা উভয়ে প্রায় ১৮০ রোহিঙ্গা হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ