সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৮ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
নয়নকে নিয়ে অশোভন মন্তব্যে মানহানির মামলা খেলেন পাটওয়ারী নতুন নীতিমালা বাস্তবায়নে ইন্টারনেটের দাম বাড়বে ২০ শতাংশ : আইএসপিএবি দেশ কীভাবে গণতন্ত্রের পথে হাঁটবে তা নির্ভর করছে আসন্ন নির্বাচনের ওপর: সিইসি গণভোটের বিষয়ে দলগুলো একমত না হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার  ইরানে ভয়াবহ খরা, তীব্র পানি সংকটের আশঙ্কা তেহরানে  পাঁচ দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি দিলো জামায়াত-ইসলামী আন্দোলনসহ ৮ দল এক সপ্তাহের মধ্যে পরামর্শ জানাতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সরকারের আহ্বান নতুন প্রজন্মের জন্য 'ধূমপান' সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করল মালদ্বীপ জামায়াত ক্ষমতায় আসলে কওমি ও সুন্নিদের অস্তিত্ব থাকবে না: মহিবুল্লাহ বাবুনগরী ঢাকায় ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ায় আওয়ামী লীগের ৬ নেতাকর্মী আটক

মাহে রমজানের ফজিলত ও মাহাত্ম্য

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তারেক জামিল ।।

রামাজান রহমত,বরকত ও মাগফিরাতের মাস,এই মাস জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস,আল্লাহ তায়ালা এই মাসে নিজের রহমত কে প্রশস্ত করে দেন এবং ক্ষমার হাত সম্প্রসারিত করে দেন।

রাসূল (সাঃ)এই রমজান মাসেই সর্বপ্রথম ওহীপ্রাপ্ত হন-যেমন আল্লাহ কোরআনে বলেছেন রমাজান হল সেই মাস,যাতে নাজিল করা হয়েছে কোরআন,যা মানুষের জন্য হিদায়াত ও সুপথের সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী এবং তা ন্যায় ও অন্যায় এর মাঝে পার্থক্যকারী,কাজেই তোমাদের মাঝে যে এ মাস প্রত্যক্ষ করে সে যেন এ মাসে রোজা রাখে (সূরা বাক্বারা,আয়াত নং ১৮৫)।

মাহে রমাজানে রোজাকে ফর‍য করে আল্লাহ বলেছেন হে ঈমানদারগণ তোমাদের উপর রোযাকে ফর‍য করা হয়েছে যেরকম তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরয করা হয়েছিল (সূরা বাক্বারা আয়াত নং ১৮৩)।

মাহে রামাজানের ফজীলত সম্পর্কে প্রিয় নবীজি (সাঃ) হাদীসে বলেছেন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত,রাসূল(সাঃ) বলেছেন,যে লোক রমজান মাসের রোজা রাখবে ঈমান ও চেতনা সহকারে তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ মাফ হয়ে যাবে
(সহীহ বুখারী)

প্রিয় নবীজি (সাঃ) আরও বলেন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত,যখন রামাজান মাস আসে আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়,দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানকে শিকলাবদ্ব করা হয় (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)।

এই মাসের কোন ইবাদতের ফযীলত অন্য যে কোন মাসের চেয়ে অনেক বেশী এ সম্পর্কে হাদীসে নবীজী(সাঃ) বলেছেন
এই মাসে যে ব্যাক্তি নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করবে,সে ঐ ব্যাক্তির ন্যায় হবে যে রামাজান ব্যাতিত অন্য একটি ফর‍য আদায় করল, আর যে ব্যাক্তি এই মাসে একটি ফরজ আদায় করবে সে যেন অন্য মাসের সত্তুরটি ফরজ আদায় করল। (মিশকাতুল মাসাবীহ)।

সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানের জন্য এই মাসে যথাযথভাবে রোজা আদায় করা,কোরআন তিলাওয়াত করা,বেশী বেশী নফল নামাজ পড়া,ইস্তেগফার পড়া ও দান-সদকা করা উচিৎ

লেখক-শিক্ষার্থী,জামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ