শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫ ।। ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ২৫ জিলকদ ১৪৪৬


কাবা ঘরের গুরুত্বপূর্ণ ১০ তথ্য

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম:  কাবা ঘর, আল্লাহর ঘর। একটি বড় ঘন আকৃতির ইমারত, যা সৌদি আরবের মক্কা শহরের মসজিদুল হারাম মসজিদের মধ্যখানে অবস্থিত। প্রকৃতপক্ষে মসজিদটি কাবাকে ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে।

কাবা পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র স্থান হিসেবে মনে করা হয়। এটি মুসলমানদের কিবলা, অর্থাৎ যে দিকে মুখ করে নামাজ পড়ে বা সালাত আদায় করে, পৃথিবীর যে স্থান থেকে কাবা যে দিকে মুসলমানগণ ঠিক সে দিকে মুখ করে নামাজ পরেন। হজ্জ এবং উমরা পালনের সময় মুসলমানগণ কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন। কাবা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি তথ্য।

(১) কাবা ঘরের ভেতরে কোনো ইলেকট্রিক লাইট নাই। (২) এ ঘরের মেঝে এবং ওয়াল মার্বেল পাথর দ্বারা নির্মিত। (৩) এ ঘরের কোনো জানালা নাই। (৪) কাবা ঘরের ১টি মাত্র দরজা।

(৫) কাবা ঘরের ছাদে ১২৭ সে.মি লম্বা ও ১০৪ সে.মি. প্রস্থের একটি ভেন্টিলেটার আছে যেটি দিয়ে সূর্যের আলো ভেতরে প্রবেশ করে।
এটি একটি কাচ দিয়ে ঢাকা থাকে। যখন কাবা ঘরের ভেতর পরিস্কার করা হয় তখন এই কাচটি খোলা হয়।

(৬) কাবা শরীফের দুটি সিলিং রয়েছে। এর ভেতরের দেয়ালগুলি সবুজ ভেলভেটের পর্দা দিয়ে আবৃত। এই পর্দাগুলি প্রতি তিন বছর পর পর পরিবর্তন করা হয়। এর সিলিংকে তিনটি কাঠের পিলার ধরে রেখেছে। প্রতিটি পিলারের ব্যাস ৪৪ সে.মি.। পবিত্র কাবা শরীফ পরিস্কার করার জন্যে এর দরজা বছরে দুইবার খোলা হয়।

(৭) রমজান এর ১৫ দিন আগে এবং হজ্জ এর ১৫ দিন আগে। পরিস্কারের পরে মেঝে এবং দেয়াল সাদা কাপড় ও টিসু দিয়ে মোছা হয়। এরপর দেয়ালগুলি পারফিউম দিয়ে সুগন্ধযুক্ত করা হয়।

(৮) কাবা শরীফের কালো কাপড়ের আবরনটি (কিশওয়া) প্রতি বছর ৯ই জিলহজ্জ পরিবর্তন করা হয়। (৯) কাবা শরীফের দরজার চাবি বনী সায়বা নামক এক গোত্রের কাছে থাকে। মহানবী মুহাম্মদ সা. এই চাবী এই গোত্রের কাছে দিয়েছিলেন, যা কিয়ামতের আগ পর্যন্ত তাদের কাছেই থাকবে। তারা কাবা শরীফ পরিস্কার করার কাজের জন্য বিভিন্ন মুসলিম দেশের প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী, কুটনীতিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের দের অভিবাদন জানান।

(১০) মক্কা শহরের গভর্নর তাদের কাবা শরীফের ভিতরে নিয়ে যান এবং তারা জমজম কুপের পানি এবং গোলাপ জল দিয়ে কাবা শরীফের ভিতর পরিস্কার করেন! সূত্র: উইকিপিডিয়া

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ