বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
খেলাফত আন্দোলনের সাথে সমমনা ইসলামি দলসমূহের বৈঠক অনুষ্ঠিত কুরআনের মহব্বত থেকেই আমার রাজনীতিতে আসা: শায়খ নেছার আহমদ জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: আখতার হোসেন ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ নাশরুস সীরাহ’র সীরাত প্রতিযোগিতা, চলছে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয়: তীব্র নিন্দা ধর্মীয় নেতাদের মহাসমাবেশে আসার পথে আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে শায়খে চরমোনাই  ইবনে শাইখুল হাদিস এর আগমন উপলক্ষে শৈলকুপায় ব্যাপক প্রস্তুতি পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বেতুয়া হুজুরের বাড়িতে ইসলাহি মাহফিল

রেডিও শুনে শুনেই হাফেজ হলেন অন্ধ শিশুটি!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: ছেলে জন্মান্ধ তাই দুঃখবোধ থেকে  বাচ্চাছেলেকে একটি রেডিও কিনে দেন বাবা মুহাম্মদ তাহির। আর এ রেডিওর মাধ্যমেই পুরো জীবন পালটে যায় পাঁচ বছরের জন্মান্ধ বাচ্চা হোসেন মুহাম্মদ তাহিরের।

হোসেন মুহাম্মদ তাহিরের জন্ম মিয়ানমারে। জন্মের পরপরই জেদ্দায় তার বাবার কাছে চলে আসে সে। ছেলে জন্মান্ধ হওয়ায় সময় কাটানোর জন্য একটি রেডিও কিনে দেন বাবা।

মুহাম্মদ তাহির জানান, রেডিও কিনে দিয়ে ২৪ ঘণ্টা কুরআন তেলাওয়াত শোনানো হয় এমন একটি চ্যানেলে ফ্রিকোয়েন্সি সেট করে দেন তিনি। ২৪ ঘণ্টা এই তেলাওয়াত শুনতে শুনতেই কুরআনে হাফেজে পরিণত হয় শিশু হোসেন মুহাম্মদ তাহির।

তবে বাবা তখনও ছেলের এ কীর্তির কথা জানতেন না। ছেলের পাঁচ বছর বয়সে তাকে নিয়ে জেদ্দা থেকে মদিনায় গমন করেন তিনি। সেখানে যাওয়ার পর মসজিদে নববিতে যাওয়ার আবদার করে ছেলে।

বাবা মুহাম্মদ তাহির জানান, তখন আমি অনেকটা মজা করেই তাকে বলি যে, যদি তুমি সূরা বাকারার কয়েকটি আয়াত মুখস্ত বলতে পারো তাহলে তোমাকে মসজিদে নববিতে নিয়ে যাবো। ছেলে তৎক্ষণাৎ পুরো সূরা বাকারা মুখস্ত তেলাওয়াত করে শোনায় বাবাকে।

বিষ্মিত বাবা সঙ্গে সঙ্গেই ছেলেকে নিয়ে কয়েকজন আলেম ও হাফেজের কাছে যান। তারা জানান, তার ছেলের কুরআন পড়া শুদ্ধ আছে।

একইসাথে তারা সবাই হোসেন মুহাম্মদ তাহিরকে কোরআন মুখস্থ করার কিছু পদ্ধতি শিখিয়ে দেন। তার কিছুদিন পরেই বাচ্চাটি কুরআনে হাফেজ হয়।

বাবা মুহাম্মদ তাহির বলেন, আমি ছেলের অন্ধত্ব নিয়ে কষ্টে ছিলাম। কিন্তু এখন আমি আমার কষ্টের কথা ভুলে গিয়েছি। আমার কোনো কষ্ট নেই। এখন আমি আমার ছেলেকে নিয়ে গর্বিত।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ