সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বরগুনার ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের বিএনপিতে যোগদানের খবরটি মিথ্যা নবীজির জীবনাদর্শ অনুসরণে জীবন আলোকিত হবে: ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশ-পাকিস্তান একে অপরকে সহযোগিতা করে যাবে–ড. ইউনূসকে জেনারেল সাহির ‘আলেম সমাজকে প্রকৃত ভূমিকা পালনে অগ্রণী হতে হবে’ ভাগ্যের পরিবর্তন চাইলে ইসলামকে ক্ষমতায় নিতে হবে: শায়খে চরমোনাই মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পথচারীর মৃত্যু, কারণ অনুসন্ধানে কমিটি গঠন ফেব্রুয়ারি নয়, জানুয়ারিতেই নির্বাচনের দাবি গণঅধিকার পরিষদের মনিগাঁও মাদরাসার প্রাক্তন ছাত্রদের পুনর্মিলনী ২৯ নভেম্বর কোনোভাবেই পতিত ফ্যাসিবাদকে সুযোগ দেওয়া যাবে না: পীর সাহেব চরমোনাই ৫ দফা দাবিতে যুগপৎ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জামায়াতের

রেডিও শুনে শুনেই হাফেজ হলেন অন্ধ শিশুটি!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: ছেলে জন্মান্ধ তাই দুঃখবোধ থেকে  বাচ্চাছেলেকে একটি রেডিও কিনে দেন বাবা মুহাম্মদ তাহির। আর এ রেডিওর মাধ্যমেই পুরো জীবন পালটে যায় পাঁচ বছরের জন্মান্ধ বাচ্চা হোসেন মুহাম্মদ তাহিরের।

হোসেন মুহাম্মদ তাহিরের জন্ম মিয়ানমারে। জন্মের পরপরই জেদ্দায় তার বাবার কাছে চলে আসে সে। ছেলে জন্মান্ধ হওয়ায় সময় কাটানোর জন্য একটি রেডিও কিনে দেন বাবা।

মুহাম্মদ তাহির জানান, রেডিও কিনে দিয়ে ২৪ ঘণ্টা কুরআন তেলাওয়াত শোনানো হয় এমন একটি চ্যানেলে ফ্রিকোয়েন্সি সেট করে দেন তিনি। ২৪ ঘণ্টা এই তেলাওয়াত শুনতে শুনতেই কুরআনে হাফেজে পরিণত হয় শিশু হোসেন মুহাম্মদ তাহির।

তবে বাবা তখনও ছেলের এ কীর্তির কথা জানতেন না। ছেলের পাঁচ বছর বয়সে তাকে নিয়ে জেদ্দা থেকে মদিনায় গমন করেন তিনি। সেখানে যাওয়ার পর মসজিদে নববিতে যাওয়ার আবদার করে ছেলে।

বাবা মুহাম্মদ তাহির জানান, তখন আমি অনেকটা মজা করেই তাকে বলি যে, যদি তুমি সূরা বাকারার কয়েকটি আয়াত মুখস্ত বলতে পারো তাহলে তোমাকে মসজিদে নববিতে নিয়ে যাবো। ছেলে তৎক্ষণাৎ পুরো সূরা বাকারা মুখস্ত তেলাওয়াত করে শোনায় বাবাকে।

বিষ্মিত বাবা সঙ্গে সঙ্গেই ছেলেকে নিয়ে কয়েকজন আলেম ও হাফেজের কাছে যান। তারা জানান, তার ছেলের কুরআন পড়া শুদ্ধ আছে।

একইসাথে তারা সবাই হোসেন মুহাম্মদ তাহিরকে কোরআন মুখস্থ করার কিছু পদ্ধতি শিখিয়ে দেন। তার কিছুদিন পরেই বাচ্চাটি কুরআনে হাফেজ হয়।

বাবা মুহাম্মদ তাহির বলেন, আমি ছেলের অন্ধত্ব নিয়ে কষ্টে ছিলাম। কিন্তু এখন আমি আমার কষ্টের কথা ভুলে গিয়েছি। আমার কোনো কষ্ট নেই। এখন আমি আমার ছেলেকে নিয়ে গর্বিত।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ