বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ।। ৫ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

আল হেরা টাওয়ার; দীনি পরিবেশের অনন্য উদাহরণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জুনায়েদ হাবিব
আওয়ার ইসলাম

আল হেরা টাওয়ার- রাজধানীর মধ্যে বহু মানুষের কাছে একটি পরিচিত নাম। আজ থেকে চার যুগ আগে রাজধানীর কুড়িলে নির্মিত হয়েছিল। ১০ তলা বিশিষ্ট এই টাওয়ারটিতে রয়েছে প্রায় ৪৪টি ফ্ল্যাট যেখানে বসবাস করছে অন্তত ৪৪টি পরিবার।

বহুতল ভবনটির মালিক হাজ্বী কামাল উদ্দীন। একজন সম্ভ্রান্ত ও পরহেজগার ব্যক্তি। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের খ্যাতিমান আলেম মুফতী মিযানুর রহমান সাঈদ ভবনটির ২য় তলা ভাড়া নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন মারকাযুশ যাকারিয়্যা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার। বছর তিনেক পর পুরো দেশে ছড়িয়ে পরে মাদরাসাটির সুনাম।

মাদরাসার দ্বীনি ও ইসলামিক মনোরম পরিবেশ সৃষ্টির কারণে তিনি আল হেরা টাওয়ারটির ২য় ও নিচ তলার পুরো অংশ মাদরাসার নামে ওয়াকফ করেন হাজ্বী কামাল উদ্দীন।

ধীরে ধীরে মাদরাসার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদও ফ্ল্যাটের বাসিন্দাসহ এলাকাবাসীদের মধ্যে শুরু করেন দীনি মেহনত। যার ফলে পুরো ফ্ল্যাটের বাসিন্দা এখন দীনি শরিয়ত মুতাবেক চলার চেষ্টা করেন। সম্পৃক্ত হন দাওয়াতের কাজে।

২০১৬ সালের শেষের দিকে ভবনটির ৩য় তলায় পৃথক পরিচালনায় মাআহাদু তালিমুল বানাত নামে মহিলা মাদরাসা চালু হয়। যেখানে পড়ালেখা করছে প্রায় ৪০ জন ছাত্রী।

জানা যায়, এ ভবনটিতে যারা বসবাস করছেন তারা সবাই সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি কিন্তু তাদের হাতে এমন মোটা অংকের অর্থ আর বিলাসবহুল গাড়ি থাকার পরও তারা ইসলামি শরিয়াহ মুতাবেক চলছে। আর এতেই তারা প্রশান্তি বোধ করেন।

সাফা মোতালেব গার্মেন্টসের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আমির হোসেন জুয়েল নামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন যাবৎ দাওয়াতে তাবলীগের সাথে সম্পৃক্ত। সে সুবাদে ভবনটির চতুর্থ তলায় ভাড়া নেই। ঢাকার অনেক অভিজাত বাড়ি থাকলেও এ বাড়িটিকে আমার অন্যরকম মনে হয়।

এমন সময় এই ধরনের একটি ভবনে এমন দীনি পরিবেশ এই সমাজে পাওয়া দুষ্কর বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘ভবনটির নাম আল হেরা টাওয়ার হলেও এ এলাকার সবাই এটাকে তাবলীগ বিল্ডিং নামে চিনে।

মাদরাসা ও আল হেরা টাওয়ার নিয়ে মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ বলেন, আমার এই মাদরাসাটি বেশি দিনের নয়। মাত্র ৭ বছরের মাদরাসা হলেও শিক্ষার মান নিয়ে আমরা গুরুত্ব দেই।

তিনি দেশের কওমি মাদরাসার শিক্ষার মান নিয়ে বলেন, পুরো দেশে হাজারও কওমি মাদরাসা আছে তবে শিক্ষার কোয়ালিটি সবখানে এক নয়। আমরা চেষ্টা করছি সারাদেশের মাদরাসাগুলোতে শিক্ষার মান যাতে সমান হয়।

তিনি বলেন, আল হেরা টাওয়ারের এ ধর্মীয় পরিবেশের ক্ষেত্রে অন্যত উদাহরণ রেখেছেন ভবনটির মালিক হাজ্বী কামাল সাহেব।

আর এ ভবনটিতে আমার এই মাদরাসা ও মহিলা মাদরাসার দ্বীনি প্রভাব রয়েছে। এর কারণে ভবনটির বাসিন্দারাও ইসলামিক শরিয়াহ মোতাবেক চলেন আলহামদুলিল্লাহ।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ