বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ।। ৫ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

মির্জা ফখরুল ও কামালের বিবৃতি; কী বলছেন বিএনপির শরিক ইসলামি দলগুলো

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ওমর ফারুক : সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের আমীর ও মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা আহমদ শফী হাটাজারী মাদরাসার বার্ষিক মাহফিলে বলেছিলেন, ‘মেয়েকে স্কুলে পড়াবেন না। আর পড়ালেও সর্বোচ্চ ক্লাস ফোর বা ফাইভ পর্যন্ত।’

তার এ বক্তব্যের পর সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে। বামপন্থী অনেক নেতা এ বিষয়ে সমালোচনা করেছেন। তবে ইসলামপন্থীদের সঙ্গে মিশে রাজনীতি করা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতির মাধ্যমে নিন্দা জানানো অবাক করেছে ইসলামপন্থীদের।

যদিও আল্লামা আহমদ শফী তার বক্তব্য ভুলভাবে প্রচার হয়েছে এবং বক্তব্যের উদ্দেশ্য ভিন্ন বলে বিবৃতি দিয়েছেন এরপরও মির্জা ফখরুল ইসলামের বিবৃতি জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

মির্জা ফখরুল তার বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মেয়েদের স্কুল-কলেজে না পাঠানোর জন্য হেফাজতে ইসলামের আমিরের বক্তব্যে আমি হতবাক ও বিস্মিত হয়েছি। একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে এই ধরনের বক্তব্য বাংলাদেশিদের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বিব্রত করবে। নারী-শিক্ষার সঙ্গে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই।’

এদিকে ঐক্যফ্রন্টের নেতা  ডা. কামাল হোসেনও আমীরে হেফাজতের মন্তব্যের বিরোধিতা করে একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে নিন্দা জানানোর পাশাপাশি আল্লামা আহমদ শফির শাস্তিও চেয়েছে ডা. কামাল।

২০ দলীয় জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি। আর এ জোটের বর্তমানে সবচেয়ে বড় নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার মুখ থেকে এমন কথা আশা করেননি ইসলামি শরিক দলগুলো।

আল্লামা আহমদ শফীর বক্তব্য শুরুতে কিছুটা অস্পষ্ট থাকলেও বিবৃতিতে দূর হয়েছে সেই অস্পষ্টতা। আর মির্জা ফখরুলও বিবৃতি দিয়েছেন আল্লামা শফির বক্তব্য স্পষ্টকরণের পর। তাই এটাকে ভুল বুঝাবুঝি বলে চালিয়ে দিতে চান না কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

এ প্রেক্ষিতে জমিয়তের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে শাইখুল হাদিস মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, আমরা মির্জা ফখরুলের প্রতিবাদলিপির তীব্র প্রতিবাদ জানাই। ইতোমধ্যে আমাদের সিনিয়র পার্সন মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী সাহেব বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে বিবৃতি পাঠিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা সাংগঠনিকভাবে ও ব্যক্তিগতভাবে তার এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আল্লামা শফী আমাদের রাহবার৷ আমরা তার কথার সাথে পূর্ণ সহমত পোষণ করছি। তিনি যা বলতে চেয়েছেন আমরা তাই বুঝেছি। তারপরও তিনি তার বক্তব্য স্পষ্ট করেছেন।

মির্জা ফখরুলের বিবৃতির পর তাদের সঙ্গে ইসলামি দলের থাকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমরা ২০ দলের সাথে থাকবো কিনা সেটা আগামী মিটিংয়ে আলোচনা করবো। দলের নীতিনির্ধারকরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

২০ দলীয় জোটের আরেক শরিকদল খেলাফত মজলিসের প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল জলিল মনে করেন, জনবিচ্ছিন্ন সরকারকে হটানোর জন্য জোটে থাকা জরুরি। জাতীয় স্বার্থে জোটে থাকবে খেলাফত মজলিস। তবে মির্জা ফখরুলের বিবৃতির নিন্দা জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি সেক্যুলার সংগঠন নয়। তাদের নিজস্ব বিশ্বাস আছে। আমাদেরও নিজস্ব বিশ্বাস আছে। শুধুমাত্র জাতীয় স্বার্থে জোটে থাকছে খেলাফত মজলিশ।

এদিকে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বিবৃতিতে আল্লামা আহমদ শফীকে নারীবিদ্বেষী, স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতেও সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে।

ডা. কামালের এমন বিবৃতি সম্পর্কে জানতে চাইলে শরিক দলের দুই নেতা মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী ও অধ্যাপক আব্দুজ জলিল এক ও অভিন্ন মন্তব্য করেছেন।

তারা বলেছেন, আমরা কখনোই ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ছিলাম না। এখনো নেই। আমাদের জোট জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সঙ্গে।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ