আওয়ার ইসলাম: টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের সন্ত্রাসী হামলার মূলহোতাদের বিচারের দাবীতে আজ রাজধানী ঢাকার সদরঘাট-গাবতলী রোডে হাজার হাজার তৌহিদী জনতা বিক্ষোভ করেছে। এ সময় বিক্ষুদ্ধ তৌহিদী জনতার স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
আজ রবিবার বিকাল ৩টা বিক্ষোভ সমাবেশে সমাবেশ শুরু হয়। সভাপতিত্ব করেন হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর ছেলে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ।
বিক্ষোভে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন।
এতে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, জাতীয় ইমাম সমাজের মহাসচিব মাওলানা মিনহাজ উদ্দীন, মুফতি বশির, মুফতি ইলিয়াছ কাসেমী, মাওলানা ফজলুল্লাহ, মুফতি হাবীবুর রহমান, মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন, মাওলানা সুলাইমান ঢাকুবী, মুফতি আব্দুর রহমান সারওয়ার, মুফতি খায়রুজ্জামান হুযাইফী, মুফতি মুহাম্মদুল্লাহ নোমানী, মুফতি আব্দুল্লাহ, মুফতি ওমর ফারুক, মুফতি সাইফুল্লাহ নোমানী, মুফতি আব্দুস সালাম প্রমুখ।
সভাপতির ভাষণে মাওলানা আতাউল্লাহ বলেন, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে হামলাকারীদের মূলহোতা সৈয়দ ওয়াসিফ গংদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। বিশ্ব ইজতেমাকে আগের মতোই সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে।
তিনি বলেন, সকল হামলাকারী ও তাদের সহযোগীদের তালিকা করে গ্রেপ্তার এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। উগ্র সন্ত্রাসী সা’দপন্থীদের আক্রমণে শহীদ ও হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
সভায় বক্তারা বলেন, তাবলীগের শান্তিপূর্ণ মেহনতের মধ্যে যারা উগ্রতা প্রদর্শন করেছে। তারা মূলত তাবলীগী নয়, এটা তাবলীগের ছয় উসূলের পরিপন্থী। ওরা এতায়াতী। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় সাদ ও ওয়াসিফপন্থী এসব এতায়াতী উগ্রহন্থীদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবী জানান।
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল রণিমার্কেট, বড়গ্রাম ও আলীনগর প্রদক্ষিণ করে থানার সামনে এসে শেষ হয়।
ইজতেমায় হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শাস্তি দাবি, ৬ দফা ঘোষণা
আরআর