বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মানিকগঞ্জে কলেজছাত্র হত্যার দায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মানিকগঞ্জের কলেজছাত্র মনির হোসেনকে হত্যার দায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল আলম ঝিনুক এই রায় দেন।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের বাদশা মিয়া, সিংগাইর উপজেলার ভাটিরচর গ্রামের লাল মিয়া, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কোশলা গ্রামের আজগর চৌধুরী ও দিনাজপুরের আওলিয়াপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন। তাঁদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন নারায়ণগঞ্জের কালিয়ারচর হাজিরটেক গ্রামের আক্তার হোসেন জামাল। তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

অমুসলিমদের সাথে যেমন ছিলেন রাসূল সা.

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির মধ্যে আনোয়ার ও আজগর এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আক্তার হোসেন জামাল পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া মামলার অপর তিন আসামি শুকুর আলী, আলম ও মাসুদকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবদুস সালাম আর আসামিপক্ষের ছিলেন শিপ্রা সাহা। রাষ্ট্রপক্ষ ও মনির হোসেনের বাবা মো. পরোশ আলী এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত রায় বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে, রায়ে অসন্তুষ্ট আসামিপক্ষের আইনজীবী উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

মামলার বরাতে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের পরোশ আলীর একমাত্র ছেলে খানবাহাদুর ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মনির হোসেনকে তার চাচা বাদশা মিয়া সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাভার নিয়ে যায়।

পরে তাকে লুকিয়ে রেখে পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে পরের দিন আসামিরা মনিরকে হাত-পা বেঁধে সাভারের বংশী নদীতে ফেলে হত্যা করে।

১১ সেপ্টেম্বর মনিরের মা মালেকা বেগম বাদশা মিয়াসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ বাদশা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দুদিন পর নদী থেকে মনিরের লাশ উদ্ধার করে।

পর্যায়ক্রমে আরো ছয়জনকে আটক করা হয়। সে সময় পলাতক থাকে আরো দুজন। আসামিরা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

অারো পড়ুন-
সংবর্ধনার দাওয়াত নিয়ে গণভবনে যাচ্ছেন আল্লামা শফী
আমিনুল ইসলাম মামুন; শোলাকিয়া থেকে কোটি হৃদয়ে
যুক্তরাজ্যের স্কুলগুলোতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে হিজাব
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আল্লামা আহমদ শফীর সাক্ষাৎ সন্ধ্যায়


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ