শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৬ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করতে গোপালগঞ্জে ওলামা-মাশায়েখ  সম্মেলন অনুষ্ঠিত সৌদির শাসকদের নিয়ে যা বললেন গ্র্যান্ড মুফতি কওমি শিক্ষার্থীদের দেশ-জাতির সেবায় নিয়োজিত করার বিষয়টি কোথায় আটকে আছে? ৪ দিনের কর্মসূচির ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের আলী রীয়াজসহ সংস্কার কমিশনের সব সদস্যকে গ্রেফতার করতে হবে: মাওলানা ইউসুফী আমরা মওদুদি ইসলাম নয়, মদিনার ইসলামের অনুসারী: সালাহউদ্দিন নতুন বাংলাদেশ গড়তে ইসলামী আদর্শের দিকে ফিরে আসতে হবে: প্রফেসর মুজিবুর রহমান জুলাই সনদ দ্রুত বাস্তবায়ন করে দেশ ও শ্রমিকদের অনিশ্চয়তা থেকে রক্ষা করুন: ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন  জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট না হলে ফ্যাসিবাদ পুনরায় মাথা চাড়া দিবে  ইসলামী আন্দোলন ঢাকা জেলা উত্তরের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

দেশজ সংস্কৃতির সঠিক দিশা লাভে প্রয়োজন সিরাতুন্নবীর জীবনঘনিষ্ট অধ্যয়ন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: কাতার ধর্মমন্ত্রণালয়ের ইমাম ও খতিব মাওলানা ইউসুফ নূর বলেছেন, মিরাজ নবী জীবনের সেরা গৌরবময় অধ্যায়। এর মাধ্যমে আল্লাহ নবীকুল সম্রাট মুহাম্মদ সা. কে মর্যাদার সর্বোচ্চ শিখরে অধিষ্টিত করেছেন।

শ্রেষ্টত্ব ও সম্মান এবং মুক্তি ও পরিত্রাণ একমাত্র নববী আদর্শের ছায়ায়-এটাই হচ্ছে বিশ^বাসীর তরে মিরাজের বার্তা। শ্রেষ্ট নবীর শেষ্ট উম্মত হয়েও আদর্শিক সংকটে নিপাতিত হওয়া চরম দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছু নয়।

১৩ এপ্রিল দোহার বিন যায়েদ সেন্টারে অনুষ্ঠিত “মিরাজের শিক্ষা ও ইতিবৃত্ত এবং ইতিহাস-ঐতিহ্যের আলোকে বাংলাসন” শীর্ষক পাক্ষিক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। আলনূর কালচারাল সেন্টার আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগীয় পরিচালক অধ্যাপক আমিনুল হক আর উপস্থাপনায় ছিলেন নির্বাহী সদস্য হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন মাশরুফ।

উপস্থিত ছিলেন সমাজ কল্যাণ পরিচালক পেয়ার মুহাম্মদ, শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী সদস্য রাকিবুল ইসলাম , শের আলম ও কারী ইব্রাহিম প্রমুখ।

মাওলানা ইউসুফ আরো বলেন, ১৪ এপ্রিলে মেরাজের পূণ্যস্মৃতি ও বাংলা নববর্ষের যুগপৎ সম্মিলন আমাদের এই বার্তা দিচ্ছে যে, বৈশাখ ও নববর্ষ সহ দেশজ সংস্কৃতির ব্যাপারে সঠিক দিশা লাভের জন্য সিরাতুন্নবীর জীবনঘনিষ্ট অধ্যয়ন একান্ত প্রয়োজন। জাতীয় জীবনের এই অস্থির মুহূর্তে বিভাজন ও বিভক্তির সর্বানাশা পথ পরিহার করে ঐক্য ও সম্প্রীতি স্থাপনে এগিয়ে আসা সকলের কর্তব্য।

বাংলা সনের প্রবর্তন, ক্রমবিকাশ ও উৎকর্ষতায় মুসলিম শাসক ও বুদ্ধিজীবদের অবদান ইতিহাসে স্বীকৃত। এতএব মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশে তাওহীদী চিন্তা-চেতনা বিরোধী কোন সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়া নীতিবিরুদ্ধ ও অগণতান্ত্রিক ।

অপরদিকে দেশীয় কৃষ্টি-কালচার ও লোকজ উৎসবগুলোকে ঢালাওভাবে অনৈসলামিক আখ্যা দেয়া ও হবে অদুরদর্শীও বাস্তবতা বিবর্জিত। ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী বীমা, ইসলামীক স্কুল ও ইসলামী সংস্কৃতিক ফোরাম আজ বাস্তব সত্য, যা কয়েক যুগ আগেও ছিল অকল্পনীয়।

তাই, দেশজ সংস্কৃতির উন্নয়ন ও উদযাপনের সুষ্ঠ পরিকল্পনা প্রণয়নে শাসকবর্গ, চিন্তাশীল বুদ্ধিজীবী ও সচেতন ওলামা-মাশায়েখের যৌথ প্রচেষ্টা ও সমন্বিত পদক্ষেপ আমাদের একান্ত কাম্য।

আরো পড়ুন- বাংলা নববর্ষ, মনুবাদ ও সাংস্কৃতিক লড়াই


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ