শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫


ভিন্নরকম নববর্ষ উদযাপনের উদ্যোগ; সাড়া ফেলেছে ফেসবুকে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাউসার লাবীব
আওয়ার ইসলাম

এবার ভিন্নভাবে নববর্ষ উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে ‘নববর্ষ উদযাপন কমিটি’ নামে একটি দল। ‘আসুন নিজস্ব সংস্কৃতিতে নববর্ষ উদযাপন করি’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে তারা এ আয়োজন করতে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে থাকবে কুরআন তেলাওয়াত, হামদ, নাতে রাসুল, ইসলামি গজল ও আলোচনা সভা।আর সঙ্গে থাকছে গরম ভাত ও গরুর গোস্তের আপ্যায়ন।

গত দুই দিন ধরে ফেসবুকে বিভিন্ন লেখা ও পোস্টারের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে এটি।

পোস্টার বা স্ট্যাটাসে কারো নাম না থাকলেও খোঁজ নিয়ে আওয়ার ইসলাম জানতে পেরেছে এর আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন সংস্কৃতি কর্মী শাহ ইফতেখার তারিক।

প্রচলিত ধারা থেকে কেন এ ভিন্ন আয়োজন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রত্যেকটা জনগোষ্ঠীর উৎসবগুলো তার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর দিকে লক্ষ্য করে পালন করা হয়। আর আয়োজন ব্যবস্থাটাও থাকে সেভাবেই।

কিন্তু  গত ১৭/১৮ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, আমাদের দেশের ৯০ভাগ মানুষ মুসলমান হওয়া সত্তেও বাঙালি বর্ষবরণ উদযাপন এমনভাবে করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ইসলামের সঙ্গে সাংঘার্ষিক।

তিনি বলেন, একচেটিয়াভাবে এখানে মুষ্ঠিময় কিছু মানুষের ইচ্ছা ও আদর্শ অনুযায়ী পালন করা হচ্ছে এ উৎসব। তাই আমরা বাঙালির আদি ঐতিহ্যকে বুকে ধারণ করে এ আয়োজন করতে যাচ্ছি।

বাঙালির আদি ঐতিহ্য বলতে কী বুঝাতে চাচ্ছেন? এবং ১৭/১৮বছর আগে এ বর্ষবরণে নতুন কী যুক্ত হয়েছে এমন প্রশ্ন তিনি জানান, আমরা ছোটবেলায় কখনো দেখিনি নববর্ষ উদযাপনের নামে পান্তা খেতে, কিংবা মঙ্গল শোভাযাত্রা করতে।

কিন্তু এটা নতুন করে যুক্ত হয়েছে, যা বাঙালির ঐতিহ্য নয় বরং একটি ভিন্নধর্মের ঐতিহ্য। সে ঐতিহ্যকে জোর করে বাঙালিদের মাথায় চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আর বাঙালির আদি ঐতিহ্য ছিল, চৈত্র মাসের শেষ ও বৈশাখের শুরু হলে তারা নতুন করে ব্যবসার হিসেব গুণতো, একে অপরকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়াতো, মুসলমান হলে তাকে গরুর মাংস আর হিন্দু হলে তাকে খাসির মাংস দিয়ে আপ্যায়ন করা হতো।

হিন্দুরাও মুসলমানদের আপ্যায়ন করতো তাদের ঘরের উত্তম খাবার দিয়ে। কিন্তু এটিকে এখন পান্তা-ইলিশে নামিয়ে আনা হয়েছে। যা আমাদের কাম্য নয়।

আয়োজনের সমন্বয়ক রাশেদ বিন মঈনের কাছে অনুষ্ঠানের কারণ জিজ্ঞেস করা হলে বলেন, আমাদের সংস্কৃতিতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভিন্ন একটি ধর্মের সংস্কৃতি প্রবেশ করানো হয়েছে।যা আমরা মেনে নিতে পারি না। তাই বাঙালি সংস্কৃতির আদলে যেন কুফরি কোনো মতবাদ আমাদের আছর করতে না পারে তাই এ আয়োজন।

পোস্টার থেকে জানা যাচ্ছে, এ আয়োজনে যে কেউ চাইলে অংশ নিতে পারবে। এজন্য আগ্রহীদের যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

কাজী নজরুলের কবিতা যেভাবে এসেছে বৈশাখ

-রোরা


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ