বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৭ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
ভারতীয় আগ্রাসন নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে সর্বস্তরের ছাত্র জনতার মানববন্ধন প্রলোভনের ফাঁদ: 'কেন আমাদের সন্তানরা এত সহজে ধরা দেয়? দেশ গড়ায় কেবল নেতা নয়, নীতিরও পরিবর্তন করতে হবে : মাসুদ সাঈদী ইমাম দম্পতিকে নির্যাতনের প্রতিবাদে দুর্গাপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত জনগণকে ইসলামি বিপ্লব থেকে দূরে সরাতে চায় ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র হাসিনার বিচার না হলে জুলাই শহীদদের ওপর অবিচার হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচনের দিনই গণভোটে অটল বিএনপি: ড. মঈন খান নগরকান্দায় বিচারগান বন্ধ: 'ইসলাম পরিপন্থী' অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিল প্রশাসন রকমারির ‘১০-১০’ অফারে ৫ লক্ষাধিক পণ্যে বিশাল ছাড়! বিক্রির জন্য বাড়ি বানিয়ে তা বিক্রি না হলে যাকাত দেওয়া লাগবে কি?

‘নামাজের কোনো প্রধান অতিথি হয় না’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সাব্বির জাদিদ

ছবিটি ১৯৭২ সালের। ধানমন্ডি ক্লাব মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গিয়েছিলেন ঈদের নামাজ আদায় করতে। নামাজের ইমাম ছিলেন হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ যাকারিয়া র.।

জামাতের সময় হয়ে গেলে ইমাম সাহেব নামাজ পড়াতে দাঁড়িয়ে যান। বঙ্গবন্ধু তখনো উপস্থিত হননি। সরকারের প্রভাবশালী এক কর্মকর্তা বলেন, বঙ্গবন্ধু আজকের জামাতের প্রধান অতিথি। তাঁর জন্য অপেক্ষা করুন।

যাকারিয়া সাহেব বললেন, নামাজের কোনো প্রধান অতিথি হয় না। ততক্ষণে বঙ্গবন্ধু মাঠে প্রবেশ করছেন। ইমামের ঘোষণা তাঁর কানে গেছে।

নির্ধারিত স্থানে নামাজ পড়ে বঙ্গবন্ধু ইমাম সাহেবকে বলেন, আপনি ঠিকই বলেছেন। নামাজের কোনো প্রধান অতিথি নাই। এরপর বঙ্গবন্ধু ইমাম সাহেবকে তার বাসায় দাওয়াত দেন।

ক'দিন পর ইমাম যাকারিয়া সাহেব বঙ্গবন্ধুর বাসায় যান বেড়াতে। আপ্যায়ন শেষে ইমাম সাহেবকে শেখ রাসেলের কোরআন শেখানোর দায়িত্ব দেন বঙ্গবন্ধু।

ছবিতে বঙ্গবন্ধু, শেখ রাসেল, জিল্লুর রহমান ও ইমাম যাকারিয়া সাহেব।

পুনশ্চ: সেদিনের ইমাম মাওলানা যাকারিয়া র.-এর কাছে আমি আরবি ব্যাকরণ পড়েছি। সেই অর্থে শেখ রাসেল এবং আমার শিক্ষক একইজন।

তথ্য ও ছবিঋণ: প্রিয় শিক্ষক Nurun Nabi সাহেব।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ