শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫


ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন ৩ মাস স্থগিত করেছে হাইকোর্ট

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম :  ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়েএকটি রিট দায়ের করার পর হাইকোর্ট  ৩ মাসের জন্যে ওই নির্বাচন স্থগিত করেছে। ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার আগেই এ নির্বাচন কিভাবে হবে এমন বিষয়টি নিয়ে আদালেতে রিট দায়ের করা হয়। বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধাবার সকালে ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ  আদেশ দেন।

আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং দুই সিটিতে নতুন যুক্ত হওয়া ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কউন্সিলর নির্বাচনের জন্য গত ৯ জানুয়ারি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সেখানে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করে নির্বাচনের বিস্তারিত সময়সূচি দেওয়া হয়।

ওই তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং তফসিলের কার্যকরিতার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে মঙ্গলবার হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। তাদের ওই দুই ইউনিয়নকে সিটি করপোরেশনের সম্প্রসারণে ওয়ার্ড হিসেবে যুক্ত করে নেওয়া হয়েছে।

আতাউর রমানের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন মোস্তাফিজুর রহমান খান। তার সঙ্গে ছিলেন আহসান হাবিব ভূঁইয়া। আর জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। তার সঙ্গে ছিলেন মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন সেলিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান।

পরে আহসান হাবিব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভোটার তালিকাই প্রকাশ করা হয়নি। এখন যিনি প্রার্থী হবেন, তিনি কিন্তু জানেন না তিনি ভোটার কিনা। তাছাড়া মনোনয়নপত্রে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষর থাকতে হবে। ভোটার তালিকা প্রকাশ না হলে সেটা কীভাবে সম্ভব?

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৫ (৩) উপধারায় বলা হয়েছে, “মেয়রের পদসহ করপোরেশনের শতকরা পঁচাত্তর ভাগ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইলে এবং নির্বাচিত কাউন্সিলরগণের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইলে, করপোরেশন, এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, যথাযথভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।”

আহসান হাবিব ভূঁইয়া বলেন, “উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টির ওয়ার্ড ধরলে কাউন্সিলরের সংখ্যা পঁচাত্তর শতাংশ হয় না। কারণ নতুন ১৮টিতে তো নির্বাচনই হয়নি। সে হিসাবে মেয়র পদই তো গঠিত হচ্ছে না।”

তাছাড়া সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডে যারা কাউন্সিলর হবেন, তারা পুরো পাঁচ বছর পাবেন না- কেন সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে ওই রিট আবেদনে।

চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসাইন সেলিম বলেন, গত ৯ জানুয়ারি যে তফসিলটি ঘোষণা করা হয়েছে, সেটি কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- সেই মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।

একটি রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় সরকার সচিব, উত্তর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রকে বিবাদী করা হয়েছে।

অন্যটিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ