বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সুখবর পেলেন প্রাথমিকের ৬৫ হাজার ৫০২ প্রধান শিক্ষক পাকিস্তানে টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে বাংলাদেশি ২ তরুণ নিহত মারকাযুল উলূম খুলনা'র ২০ তম বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল শুক্রবার  অনশনরত তারেকের পক্ষে সংহতি বিএনপি’র গুলি খেতে না চাইলে এনসিপিতে আসুন: হাসনাত আবদুল্লাহ ‘উত্তেজনা কমাতে’ ইস্তাম্বুলে ফের আলোচনায় বসছে পাক-আফগান জাতিসংঘে আওয়ামী লীগের চিঠি দেওয়ায় কোনো কাজ হবে না: তৌহিদ হোসেন ৭২র সংবিধান বাতিল জুলাই বিপ্লবের অন্যতম প্রেরণা: ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্ট প্রকাশিত হয়েছে আবুল ফাতাহ কাসেমী’র নতুন বই ‘ইসলাম ও কাদিয়ানি ধর্ম’  অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণার উপর গণভোট দিতে হবে: খেলাফত মজলিস

আটিপাড়া মসজিদের মুসল্লী ও আলেমদের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বন্যার পানিতে ভেসে গেছে পুরো এলাকা। ভেঙ্গে গেছে রাস্তাঘাট ও বাড়ীঘর। যারা পেরেছে তারা উঁচুতে আশ্রয় নিয়েছে। বাকি সবার দিনরাত এখন কাটছে পানিবন্ধী অবস্থায়।

শুধু উপকুলীয় অঞ্চল নয়, দেশের অধিকাংশ এলাকাই এখন বন্যাকবলীত। শেষ আশ্রয়টুকুও হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে লাখো মানুষ। বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে পানিবদ্ধ অবস্থায় কাটছে তাদের রাত-দিন।

‘‘মানুষের তরে মানুষ আমরা’’ এ প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে অনেকেই ছুটে যাচ্ছেন বন্যার্তদের সহায়তায়। গত ২৩-০৮-২০১৭ বুধবার উত্তরখান আটিপাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদের মুসল্লী ও আলেমগণ ত্রাণ নিয়ে গিয়েছিলেন টাংগাইলের নাগরপুর ও সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে।

যমুনার ভাঙ্গনে সর্বস্বহারানো মানুষদের প্রতি সহায়তায় সাধ্যমতো তারা চেষ্টা করেছেন। আটিপাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব ও জামিয়াতুল আস’আদের সহকারী মুফতি- মুফতি মোস্তফা কামালের উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনায় লক্ষাধিক টাকার ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।

চাল, ডাল, গুড়-চিড়া, সেমাই, স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি ২১৫টি ব্যাগে তুলে দেওয়া হয় বন্যার্তদের হাতে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও পাথরাইলে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

ত্রাণ কার্যক্রমের ব্যাবস্থাপক মুফতি মোস্তফা কামাল জানান, ‘যমুনার পানীতে অনেক উঁচু এলাকাও পানিতে তলিয়ে গিয়েছে। দূর্গত মানুষের তুলনায় আমাদের সাহায্য খুবই অপ্রতুল। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে আমি মুসল্লীদের উদ্বুদ্ধ করি। বিপদগ্রস্থের পাশে দাড়াঁনো সকলের ঈমানী দ্বায়িত্ব।  এলাকার তরুণ ও যুবকরা স্বতস্ফুর্তভাবে সাহায্য সংগ্রহ করে। তাদের নিয়েই আমরা এ ত্রাণ বিতরণ করেছি’’।

মানুষ মানুষের জন্য। বন্যাার্তদের পাশে এগিয়ে আসতে হবে আমাদেরই। প্রতিটি মসজিদের ইমামগণ যদি মুসল্লীদের নিয়ে এভাবে এগিয়ে আসেন,তাহলে বানভাসী মানুষের কষ্ট অনেকটাই কমে যাবে।

চার জেলায় ১২০০ পরিবারকে আমরা ত্রাণ দিয়েছি: হাম্মাদ আমিন


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ