বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬

পাঠ্যপুস্তকে মসজিদ শব্দদূষণকারী : নতুন বিতর্কে ভারতের মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : বিতর্ক যেনো পিছু ছাড়ছে না ভারতীয় পাঠ্যপুস্তকের। যিশু খ্রিস্ট, নারী দেহ ও মাংসাশাসীর পর এবার মসজিদ নিয়ে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ভারতের ষষ্ঠ শ্রেণীর জন্য কিছু স্কুলে সুপারিশকৃত বিজ্ঞান বইয়ে মসজিদকে শব্দদূষণকারী হিসেবে প্রদর্শিত করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান সার্টিফিকেট অব সেকেন্ডারি এডুকেশনের (আইসিএসই) তত্ত্বাবধানে থাকা নির্দিষ্ট কিছু স্কুলের জন্য প্রণিত পাঠ্যবইটিতে এক চিত্রে রেলগাড়ি, গাড়ি, বিমানের পাশাপাশি মসজিদকে শব্দদূষণকারী হিসেবে দেখানো হয়, ছবিতে দেখা যায় একজন ব্যক্তি শব্দে মুখ বিকৃত করে কান ঢেকে বসে আছে।
আইসিএসই জানিয়েছে, তারা এই বইটি প্রকাশ কিংবা সুপারিশ করেনি, যেসব স্কুলগুলো বইটি সুপারিশ করেছে এটা তাদের বিষয়। কাউন্সিল ফর ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এক্সামিনেশনের প্রধান নির্বাহী ও সচিব গেরি আরাথুন বলেন, যদি কোনো বইয়ে আপত্তিকর বিষয় কোনো নির্দিষ্ট স্কুলে পড়ানো হয় তাহলে সেটার দায় সেই স্কুল ও বইটির প্রকাশকের সেটি দেখতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বইটি প্রত্যাহারে অনলাইন পিটিশন হওয়ার পরে বইটির প্রকাশনা সংস্থা সেলিনা পাবলিশার্সের হেমন্ত গুপ্ত ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি এটাও নিশ্চিত করেছেন পরবর্তী সংস্করণে এই ভুল সংশোধন করা হবে। তিনি বলেন, আমরা যদি কারো অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে থাকি তাহলে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।
কিছুদিন আগে সংগীত শিল্পী সনু নিগম মসজিদে আজানে লাউড স্পিকার ব্যবহার করা নিয়ে সমালোচনা করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন। সম্প্রতি ভারতের বেশ কয়েকটি পাঠ্যবইয়ের বিষয় বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
গত মাসে দেখা যায় ভারতের নবম শ্রেণীর একটি হিন্দি পাঠ্যবইয়ে যিশুখ্রিস্টকে ‘শয়তান’ অভিহিত করা হয়।
গত এপ্রিলে দ্বাদশ শ্রেণীর শারীরিক শিক্ষার পাঠ্যবইয়ে নারীদের শারীরিক গড়ন ৩৬-২৪-৩৬ আদর্শ বলে উল্লেখ করা হয়।
চতুর্থ শ্রেণীর পরিবেশ শিক্ষার একটি অধ্যায়ে নিঃশ্বাসের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে একটি ব্যবহারিক উদাহরণ দেয়া হয় কিভাবে একজন শিশু দমবন্ধ করে বিড়াল হত্যা করতে পারবে।
আরেকটি বইয়ে বলা হয়, মাংসখেকোরা প্রতারক হয়, মিথ্যা কথা বলে ও যৌন অপরাধ করে।
সূত্র : এনডিটিভি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ