রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ৯ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
‘জুলাই অভ্যুত্থানের সুযোগ কাজে না লাগালে আগামী প্রজন্ম ধিক্কার দেবে’ ফজলুর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ছাত্রশিবিরের, সাংগঠনিক শাস্তি দাবি ফজলুর বক্তব্য প্রত্যাহার ও বহিষ্কার চেয়ে ৯৭ সংগঠনের যৌথ বিবৃতি কেন জাহাজে হজে নেওয়া গেল না, জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা ৬ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন দেওবন্দের মুফতি সালমান মানসুরপুরী ১২ রবিউল আউয়াল ৬ সেপ্টেম্বর ঢাবিতে ফজলুরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল শিক্ষার্থীরা ‘স্বৈরতন্ত্রের সুপ্ত বীজ যাদের মধ্যে আছে তারাই সংবাদ প্রকাশে বাধা দেয়’  খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে ফিরোজায় পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী জুলাই শহীদদের অপমানের প্রতিবাদে ঢাবিতে ফজলুর কুশপুত্তলিকা দাহ

প্রধান বিচারপতিই ভাস্কর্য স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত গ্রিক দেবি থেমিসের ভাস্কর্যটি সরানোর নির্দেশ প্রধান বিচারপতিই দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন,  অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার তিনি জানান,‘বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা আমাকে ডেকেছিলেন। এসময় ড. কামাল হোসেন, খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ সুপ্রিম কোর্টের বারের বর্তমান ও সাবেক দায়িত্বশীলরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সামনের ভাস্কর্যকে কেন্দ্র করে আমি কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা চাই না। এটি সরিয়ে নেওয়া হোক। এবং এমন জায়গায় স্থাপন করা হোক যেন প্রশ্ন না ওঠে ।’

ভাস্কর্য সরানোয় প্রধানমন্ত্রীকে হেফাজতের ধন্যবাদ

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও জানান, ‘এসময় সুপ্রিম কোর্টের সামন থেকে ভাস্কর্যটি সরিয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ বলে আমরা প্রধান বিচারপতিকে বলেছি।’

এরপরেই প্রধান বিচারপতি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন বলেও জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার পর সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত দেবী থেমিসের মূর্তি সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করা হয়। এসময় ভাস্কর মৃণাল হকের উপস্থিতিতে মোট ২০ জন শ্রমিক ভাস্কর্যটি সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেন। এটিকে জাতীয় ঈদগাহ থেকে দূরে অবস্থিত সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে স্থানান্তর করা হবে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের মূল ফটকের সামনে গত ডিসেম্বর মাসে এই ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছেন ভাস্কর মৃণাল হক। ডান হাতে নিচের দিকে ধরা একটি তলোয়ার আর বাম হাতে দাঁড়িপাল্লা নিয়ে দাঁড়ানো নারী। এই ভাস্কর্য স্থাপনের পর থেকেই বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন তা অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছে।

বৃহস্পতিবার সকালেও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন রমজানের আগেই ভাস্কর্য সরাতে আহ্বান জানায়। এর আগে ইসলামী ঐক্যজোট হরতালের ঘোষণা দেয়-যে রমজানের আগে গ্রিক দেবী না সরালে তারা কঠোর কর্মসূচি দেবে। অব্যাহত প্রতিবাদ আসে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক রাজনৈতিক দল, আওয়ামী ওলামা লীগসহ সুন্নীপন্থী একাধিক সংগঠনের তরফে। এছাড়া গত ২১ মে ভাস্কর্য অপসারনের দাবিতে ঢাকায় মহা সমাবেশ করে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ