সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ৭ পৌষ ১৪৩২ ।। ২ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
 আগামীকাল শহীদী শপথ পড়াবে ইনকিলাব মঞ্চ বিএনপিকে ১০টি স্পেশাল রিজার্ভড ট্রেন দেওয়া হয়েছে : রেলপথ উপদেষ্টা দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত এবার মহাখালীতে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ নির্বাচন পেছাতেই বিএনপি নেতার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে: এ্যানি দুই আসনে মন গলেনি নুর-রাশেদদের, বিএনপির সঙ্গ ছাড়ার ইঙ্গিত সৎ প্রার্থী বেছে চিন্তা-ভাবনা করে ভোট দিন: প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক নূরুল কবীরের বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জামায়াতের শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করলেন বাংলাদেশ  খেলাফত আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ যাত্রা শুরু করল ভোটের গাড়ি ‘সুপার ক‍্যারাভান’

রায় পড়ে শোনানো হলো মুফতি হান্নানকে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

mufti_hannanহরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও তাঁর সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলকে মৃতুদণ্ডাদেশের রিভিউ খারিজের রায় পড়ে শোনানো হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল ১০টায় কাশিমপুর কারাগারের হাই-সিকিউরিটি ইউনিটে দুজনকে রায় পড়ে শোনানো হয়।

মৃত্যদণ্ডাদেশ পাওয়া এই দুজনকে রিভিউ আদেশ পড়ে শোনান জেল সুপার মিজানুর রহমান। পরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে মুফতি হান্নান জানান, বিষয়টি তিনি ভেবে জানাবেন।

এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও তাঁর সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলের মৃত্যুদণ্ডাদেশের রিভিউ আবেদন খারিজের রায় কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছায়।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান জানান, রিভিউ খারিজের পর  রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা না চাইলে বা চাওয়ার পর তা প্রত্যাখ্যাত হলে কারাবিধি অনুসারে মুফতি হান্নান ও বিপুলের ফাঁসির দণ্ডাদেশ কাশিমপুরে কার্যকর করা হবে।

সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি মুফতি হান্নান ও বিপুল কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। অপর আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপন সিলেট জেলা কারাগারে রয়েছেন। সেখানেই তাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হতে পারে।

২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী,সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন। ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। এর পর নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ২০০৯ সালে আসামিরা জেল আপিলও করেন।

গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত দণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করে । ওই বছরের ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ১৪ জুন রায় হাতে পাওয়ার পর ১৪ জুলাই আপিল করেন দুই আসামি হান্নান ও বিপুল।

আপিলের শুনানি শেষে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর আসামিদের আপিল খারিজ  হয়ে যায়।

চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি এ রায় প্রকাশের পর আসামিরা রিভিউ আবেদন করেন। ১৯ মার্চ রোববার রিভিউ খারিজ হয়ে যায়। পরে রিভিউ খারিজের রায় গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ