শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
৪০ সেকেন্ডের ঝটিকা মিছিল শেষে কারাগারে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ১২ নেতাকর্মী ‘যথেষ্ট সফলতা আছে, তবে ১৫ বছরের জঞ্জাল ১৫ মাসে পরিষ্কার করা যায় না’ ব্যাংকগুলোতে ক্যাশ নেই, চরম ভোগান্তিতে গাজার মানুষ বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগের বিরুদ্ধে ইসরাইলে ব্যাপক বিক্ষোভ শ্রমিকবান্ধব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে : মাওঃ আব্দুল আউয়াল দেশের সর্ববৃহৎ সিরাত প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত ‘যারা ভোটের জন্য বেহেশতের টিকিটের কথা বলে বেড়ায় তাদের থেকে সাবধান’ ঝটিকা মিছিল করতে গিয়ে গ্রেপ্তার আ.লীগের তিন হাজার নেতাকর্মী ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়কে নামাজ আদায় নভেম্বর থেকে নতুন পোশাক পাচ্ছে মহানগর পুলিশ

রোহিঙ্গা গণহত্যা-নির্যাতনের প্রমাণ পায়নি মিয়ানমারের তদন্ত কমিশন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

rohinga17আওয়ার ইসলাম: মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের মংডুতে কোন ধরনের গণহত্যা বা ধর্মীয় নিপীড়নের অভিযোগের সত্যতা পায়নি দেশটির সরকার কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিশন।সংবাদ বিবিসির।

রোহিঙ্গা মুসলিমদের পুলিশী নির্যাতনের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর চার পুলিশ কর্মকর্তাকে আটকের ঘটনার একদিন পর তদন্ত কমিশনের রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে মিয়ানমারের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, "মংডুর বাঙ্গালি অধিবাসীদের সংখ্যা, মসজিদ ও ধর্মীয় স্থাপনাই প্রমাণ করে সেখানে কোন গণহত্যা বা নিপীড়নের ঘটনা ঘটেনি"।

কমিশন বলছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর তাদের জানিয়েছে যে দায়িত্বে থাকা কারও বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অবৈধ আটক, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ সেগুলোর বিষয়ে যথাযথ প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তারা প্রস্তুত রয়েছে।

ধর্ষণের বিষয়ে তদন্তের সময় গ্রামবাসী ও স্থানীয় নারীদের সাথে কথা বলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার মতো যথেষ্ট প্রমাণ পায়নি বলে ওই রিপোর্টে দাবি করেছে তদন্ত কমিশন।

আর অগ্নিসংযোগ, অবৈধ আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ এখনো খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত অক্টোবরে রাখাইনে বিরুদ্ধে সেনা অভিযানে ব্যাপকভাবে রোহিঙ্গাদের হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন এবং বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে।

এ ঘটনায় বহু রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় এবং প্রাণ বাঁচাতে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়।

যদিও মিয়ানমারের তরফ থেকে শুরু থেকেই এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা হয়।

জাতিসংঘ-সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকেই এসব ঘটনায় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ভূমিকার তীব্র সমালোচনাও করেছে।

এমন পটভূমিতে অভিযোগ গুলো তদন্তের ঘোষণা আসে মিয়ানমারের দিক থেকে তবে এ তদন্ত কমিশন নিয়েও বিতর্ক হয়েছে, কারণ তদন্ত কমিশনের প্রধান করা হয়েছে একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা যাকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র কালো তালিকাভুক্ত করেছে।

ডিএস


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ