রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
৫ দফা দাবিতে যুগপৎ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জামায়াতের মৃত্যুর আগে শেষ স্ট্যাটাসে যা লিখে গেছেন ফার্মগেটে নিহত যুবক দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলনরত ইবতেদায়ি শিক্ষকদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা গাজায় শিশুদের জীবন রক্ষায় যুদ্ধবিরতিকে টিকিয়ে রাখতে হবে: ইউনিসেফ সরকারের বোধোদয় না হলে কঠিন কর্মসূচির পথে হাঁটবে ইসলামী আন্দোলন সিম ব্যবহারে নতুন নীতিমালা: ৪ দিন পরেই বাতিল অতিরিক্ত সিমকার্ড বরিশালে নতুন ব্যাচের নূরানী মু'আল্লিম প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু ১০ নভেম্বর ভালোদের তুলে না আনলে অযোগ্যরা ওয়াজের মাঠ দখল করবেই জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: আখতার হোসেন জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সংবিধানের বাইরে না যাওয়ার আহ্বান সালাহউদ্দিনের

‘বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত হয়নি’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

hasina3আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর আর কোনো দেশে ইতিহাস বিকৃতির ঘটনা ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার বিকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সিটিটিউটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্র্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ইতিহাস বিকৃতির ঘটনা ঘটেনি। শুধু বাংলাদেশেই এমনটা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে অনেকে খেতাব পেলেও তারা আসলে স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী ছিল না। কেননা পরবর্তীতে জাতির জনকের হত্যাকারীদের বিচার না করে ষড়যন্ত্রকারীদের পুরষ্কৃত করার মাধ্যমেই তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছিল।

দেশকে পিছিয়ে নিতে যারা বারবার ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় এসেছিল সেই শক্তি কখনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করতে পারে না বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

২০০১ সালের নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আপোষ করলে সেবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারত বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ২০০১ সালে নির্বাচনের আগে মার্কিন গ্যাস কোম্পানি তাদের সঙ্গে গ্যাস বিক্রির চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সাড়া দেইনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওই চুক্তিতে ছিল তারা (মার্কিন কোম্পানি) আমাদের কাছ থেকে গ্যাস কিনে ভারতের কাছে বিক্রি করবে।  কিন্তু তখন তাদের আমরা বলেছি, আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য ৫০ বছরের গ্যাস রিজার্ভ করতে পারলেই গ্যাস বিক্রি করবো।’

তিনি বলেন, ২০০১ সালে নির্বাচনের আগে লতিফুর রহমান তত্ত্বধায়ক সরকার দায়িত্ব পালন করে তখন আমেরিকার সাবেক রাষ্ট্রপতি জিমি কার্টার বাংলাদেশে এসেছিল। লতিফুর রহমানের বাসায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের পক্ষে আমি এবং তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত জিল্লুর রহমান গিয়েছিলামি আর বিএনপির পক্ষে গিয়েছিল বেগম খালেদা জিয়া এবং মান্নান ভূঁইয়া। সেখানেও আমাকে একই প্রস্তাব দিয়েছিল কিন্তু আমি তাদের বলে এসেছি ক্ষমতায় আসার জন্য আমি দেশের সম্পদ বিক্রি করতে পারবো না। বিএনপি তখন তাদের সাথে প্রস্তাববে সম্মত হয়ে ক্ষমতায় এসছিল।

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ