বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২ পৌষ ১৪৩২ ।। ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
২০ ফেব্রুয়ারি শুরু একুশে বইমেলা আশার বাণী নয়, প্রধান উপদেষ্টার কাছে মানুষ পদক্ষেপ দেখতে চায়: অধ্যক্ষ ইউনুস মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শীর্ষ আলেমদের সমর্থন এমন কিছু ঘটবে যা সারাদেশ কাঁপাবে, বান্ধবীকে শুটার ফয়সাল দাড়ি-টুপিকে রাজাকারের প্রতীক বানানোর ইস্যুতে হেফাজতের তীব্র প্রতিবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে কুরআন শিক্ষা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়- ধর্ম উপদেষ্টান ‘বাবরের পথ ধরো, সেভেন সিস্টার স্বাধীন করো’ স্লোগান জুলাই ঐক্যের মুফতি মনির কাসেমীকে নিয়ে জমিয়তের নতুন সিদ্ধান্ত হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি’

৫ ভাষায় অনুবাদ হচ্ছে মাওলানা মাসঊদের ফতোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

fotoa

ঢাকা: আরবি, ইংরেজি, ফরাসি, মালয় ও তামিল- এই পাঁচ ভাষায় অনুবাদ হচ্ছে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের আলোচিত এক লক্ষ আলেমের ফতোয়া। এগুলো পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দেশ ও গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের কাছে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

বাংলামেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এক লাখ আলেমের ফতোয়ার কপি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আগামী ১১ আগস্ট দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই ফতোয়ার কপি হস্তান্তর করার পরই ওআইসি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জাতিসংঘে পাঠানো হবে। ইতিমধ্যে ৩২ পৃষ্ঠার এই ফতোয়া বাংলা, আরবি এবং ইরেজি ভাষায় করা হয়েছে। এখন ফ্রান্স ও তামিল এবং মালয় ভার্সনের কাজ চলছে।

দেশে সম্প্রতি বেশক’টি গুপ্তহত্যার প্রেক্ষাপটে চলতি বছরের ১৮ জুন শোলাকিয়ার ঈদগাহ ময়দানের ইমাম এবং বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের উদ্যোগে ‘এক লক্ষ মুফতি, উলামার দস্তখত সম্বলিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী মানবকল্যাণে শান্তির ফতওয়া’ শীর্ষক ফতোয়া প্রকাশ করা হয়।

ফতোয়ায় সারাদেশের ১ লাখ ১ হাজার ৮৫০ জন মুফতি, আলেম-উলামা এই ফতোয়ায় স্বাক্ষর করেন। এর মধ্যে ৯২ হাজার ৫৩০ পুরুষ আলেম-মুফতি এবং ৯ হাজার ৩২০ জন নারী আলেম-মুফতি রয়েছেন। লক্ষাধিক আলেম-উলামার স্বাক্ষরিত ফতোয়াটি ৩২ পৃষ্ঠার। এতে কুরআন ও হাদিসের দলিলের ভিত্তিতে ১০টি প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে। এই ফতোয়ায় জঙ্গিবাদ ও আত্মঘাতী হামলাকে ‘হারাম’ আখ্যা দেয়া হয়েছে।

এই ফতোয়া প্রকাশের পর দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।

ওআইসি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জাতিসংঘ ছাড়া সৌদি আরব, জাপান, ইরান, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া ফতোয়ার কপি পাঠানো হয়েছে।

এরমধ্যে সৌদি এবং ইরানে আরবি, জাপানে ইংরেজি ভার্সনের কপি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মালেশিয়ায় আরবি এবং ইংরেজি ভার্সনের কপি পাঠানো হয়েছে, সেখানে এখন মালায় ভার্সনের কাজ চলছে।

এছাড়া শ্রীলংকায়ও বাংলাদেশে লাখো আলেমের এই ফতোয়ার কপি পাঠানো হয়েছে। শ্রীলংকা জমিয়তুল উলামার উদ্যোগে এই ফতোয়া তামিল এবং সিংহল ভাষায় ছাপানোর কাজ চলছে বলে জানান মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন ।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ