বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২ পৌষ ১৪৩২ ।। ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
২০ ফেব্রুয়ারি শুরু একুশে বইমেলা আশার বাণী নয়, প্রধান উপদেষ্টার কাছে মানুষ পদক্ষেপ দেখতে চায়: অধ্যক্ষ ইউনুস মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শীর্ষ আলেমদের সমর্থন এমন কিছু ঘটবে যা সারাদেশ কাঁপাবে, বান্ধবীকে শুটার ফয়সাল দাড়ি-টুপিকে রাজাকারের প্রতীক বানানোর ইস্যুতে হেফাজতের তীব্র প্রতিবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে কুরআন শিক্ষা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়- ধর্ম উপদেষ্টান ‘বাবরের পথ ধরো, সেভেন সিস্টার স্বাধীন করো’ স্লোগান জুলাই ঐক্যের মুফতি মনির কাসেমীকে নিয়ে জমিয়তের নতুন সিদ্ধান্ত হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি’

খতীবদের প্রতি আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের খোলা চিঠি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

faridআওয়ার ইসলাম: দেশের ইমাম খতীবদের প্রতি শোলাকিয়ার গ্রান্ড ইমাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ এক চিটি পাঠিয়েছেন। ২৭ জুলাই পাঠানো চিঠিতে তিনি জঙ্গিবাদ বিষয়ে খতীবদের বেশ কিছু পরামর্শ দেন।

চিঠিটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! মুহতারাম সমাজ সচেতনতায় দেশকে এগিয়ে নিতে এবং ইসলামের মৌলিক সড়কে সাধারণ মানুষকে পরিচালনার ক্ষেত্রে একজন ইমাম ও খতীব হিসেবে আপনার ভূমিকা প্রশংসনীয়। বিদ্যমান এই সঙ্ককটময় সময়েও দেশের মানুষের দরদি অভিভাবক আপনি। সমাজের সাধারণ মানুষ সবসঙ্কটে আপনার মূল্যবান আলোচনার উপর আস্থাশীল।

মননীয় ইমাম ও খতীব! নিশ্চয় আপনি লক্ষ্য করেছেন, বিশ্বজুড়ে যে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের দাবানল শুরু হয়েছে তাতে পুড়ছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশও। ইসলাম শান্তি- এতে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। সম্প্রতি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী একলক্ষ আলিম, মুফতি ও আইম্মার দস্তখত সম্বলিত মানবকল্যাণে শান্তির ফতোয়া প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা। এ ফতোয়া প্রকাশের ক্ষেত্রে যে মৌলিক বিষয়গুলো জাতির সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে তা হলো—

এক. ইসলামের প্রকৃতরূপ তুলে ধরতে হবে অর্থাৎ উগ্রতা নয় সহিষ্ণুতা, শত্রুতা নয় ভালোবাসা, হিংসা নয় সহমর্মিতা, প্রতিশোধপরায়ণতা নয় ক্ষমাশীলতা এবং বিদ্বেষ নয় সহৃদয়তা।

দুই. যারা এখনো উগ্রবাদিদের প্রচারণায় বিভ্রান্ত হয়নি তাদেরকে রক্ষা করা।

তিন. বিভ্রান্তির শিকার তরুণদের সে পথ থেকে ফিরিয়ে আনা।

চার. মাদরাসা, মসজিদ এবং আইম্মা ও উলামায়ে কেরাম যে জঙ্গি বা সন্ত্রাসী নয় তা স্পষ্ট করা।

পাঁচ. সাধারণ মানুষের হৃদয়ে ইসলামের পরিভাষাগুলোকে যথার্থ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করা।

আল্লাহর মেহেরবানী বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতেই ফতোয়াটি আবেদন সৃষ্টি করতে পেরেছে। আমেরিকার কংগ্রেস, হাউস অব কমন্স লন্ডন, বাংলাদেশ পার্লামেন্টসহ সংবাদটি প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে। আজ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসেছে— এই ক্ষেত্রেও উক্ত ফতোয়াটির ভূমিকা অনস্বীকার্য। মূলত সর্বক্ষেত্রে আলেমদেরকেই সবার আগে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসা উচিৎ। কারণ আলেমরাই তো নবীজীর উত্তরাধিকারী।

সম্মানিত ইমাম ও খতীব! সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের দাবিতে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা ২৯ জুলাই ২০১৬ শুক্রবার জঙ্গিবাদবিরোধী দিবস ঘোষণা করেছে। আশা করি আপনি জমিয়তঘোষিত এই কর্মসূচি পালনে এগিয়ে আসবেন।

২৯ জুলাই জঙ্গিবাদবিরোধী দিবসের কর্মসূচি

এক. জঙ্গিবাদ নির্মূলের জন্য আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে দুআ করার আহ্বান।

দুই. শিক্ষার্থী ও মুসল্লিদের নিয়ে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদবিরোধী মানববন্ধন করা।

তিন. সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদবিরোধী আলোচনাসভা করা।

চার. জঙ্গিবাদবিরোধী লিফলেট বিতরণ। সম্মানিত ইমাম ও খতীব আমরা সুন্দর ও নিরাপদ একটা দেশ চাই। আল্লাহর অফুরান রহমত সবুজ এই বাংলার জমিনকে সবধরনের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে আলেমসমাজের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই আসুন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াই।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ