শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
তুরস্কের যাচ্ছেন হাফেজ্জি হুজুর রহ সেবার নেতৃত্ববৃন্দ ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমাতে মধ্যস্থতা করতে চায় ইরান  ভারত হামলা করলে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধের’ হুমকি পাকিস্তানের আখাউড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত ​​বইবে : বিলাওয়াল ভুট্টো হজের সময় ভুয়া ক্যাম্পেইনে জড়িতদের ধরছে সৌদি জামায়াত-শিবিরের প্রশংসা, সন্তোষ শর্মা ইস্যুতে যে ‘নসিহত’ রফিকুল মাদানীর গাজার শিশুরা এখন গল্প শোনে না, শোনে যুদ্ধ আর ক্ষুধার আর্তনাদ পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ । বেশি ক্ষতি হবে এয়ার ইন্ডিয়ার মতো বড় সংস্থার  ভারত-পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে আবারও গুলি বিনিময়

যেভাবে অনন্য তিনি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

khan2আব্দুল্লাহ বিন রফিক : মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, বৈচিত্রময় গুণী এই মানুষটির কথা কে না জানেন। তার অবদান সম্পর্কেও কমবেশি সবার জানা। তাফসিরে মাআরিফুল কুরআনের অনুবাদ লিখে সবার মাঝে বেশ বড়সড় জায়গা করে নিয়েছেন। রাজনীতি ও লেখালেখির প্লাটফর্মে সমান তালে হেঁটেছেন জীবন-বিপ্লবের বাঁকে বাঁকে।

লেখনি ও সম্পাদনার কাজে তিনি এগিয়ে গিয়েছেন বহুবিস্তৃত দূর সীমানায়। সম্পাদনা করেছেন মাসিক মদীনা। সম্পাদিত, অনূদিত ও সংকলিত বইয়ের সংখ্যাও কম নয়। সংকলিত যেমন : রওযা শরীফের ইতিকথা, দরবারে আউলিয়া, হায়াতে মাওলানা হুসাইন আহমাদ মাদানী ও দেওবন্দ আন্দোলন, কুড়ানো মানিক [১-৪ খন্ড], কোরআন পরিচিতি, আধুনিক বাংলা-আরবি এবং আধুনিক আরবি-বাংলা অভিধান আল-কাউছার, অনূদিত যেমন : মাওলানা ফযলে হক খয়রাবাদী কৃত আযাদী আন্দোলন, শহীদ হাসানুল বান্নার রচনাবলী, ইমাম গাজালীর [৪৫০-৫০৫ হি.] জগত বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ইয়াহইয়াউ ঊলুমিদ্দীন [১-৫ খ-], উপমহাদেশের প্রথম মুহাদ্দিস শায়খ শারফুদ্দিন আবূ তাওয়ামার ছাত্র শায়খ ইয়াহইয়া মুনায়েরী কৃত মারেফাত জ্ঞানের রত্ন ভাণ্ডার, জালালুদ্দীন সুয়ূতী [৮৪৯-৯১১হি.] কৃত বিখ্যাত সীরাত গ্রন্থ খাসায়েসুল কুবরা, মুফতী ইয়ার মুহাম্মদুল্লাহ খান কৃত দালায়েলুস সুলূকের অনুবাদ ইসলামী তাছাউফের স্বরূপসহ আরও অনেক গ্রন্থের কাজ তিনি সফলভাবে সম্পাদনা করেছেন।

ষাটের দশক থেকে তিনি বাংলার রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে প্রবেশ করেন। প্রথমে তিনি মাওলানা আতহার আলী রহ. প্রতিষ্ঠিত নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় দায়িত্বে সমাসীন ছিলেন। পরবর্তীতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাথে ইসলামী শাসনতন্ত্রের জোরদার আন্দোলন চালিয়ে জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ২৫/২৬ ডিসেম্বর ঢাকার পটুয়াটুলী জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় জমিয়তের কাউন্সিলে তিনি জমিয়তের মহাসচিব নির্বাচিত হন। এই অধিবেশনেই তানজিমুল মাদারিস গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৮৮ সালের ২৮ মার্চ জমিয়তের সহ-সভাপতি এবং ২০০৩ সালের ১লা জুন নির্বাহী সভাপতি নির্বাচিত হন।

এছাড়া তাঁর আরও অনেক পরিচয় আছে। তিনি সাপ্তাহিক মুসলিম জাহানের প্রতিষ্ঠাতা। রাবেতা আলমে ইসলামীর কাউন্সিলর। মু’তামারুল আলম ইসলামীর বাংলাদেশ শাখার প্রেসিডেন্ট। জাতীয় সীরাত কমিটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। নাস্তিক-মুরতাদ প্রতিরোধ আন্দোলন ইসলামী মোর্চার সভাপতি। ইসলামী ঐক্যজোটের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান। জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের প্রধান।

তার জীবনের একান্ত ইচ্ছে ছিলো, বাংলা ভাষায় এদেশের আলিমরা বড় মযবুত ও শক্ত একটা ভাষার ভীত যেন তৈরি করে যায়। তাঁর স্বপ্ন পূরণের গুরুদায়িত্ব তিনি আলিমদের দিয়ে গেছেন। বংশ পরম্পরায় নির্মাণ করে গেছেন স্বপ্নীল ভবিষ্যৎ।


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ