মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৮ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জুলাই আন্দোলনের অগ্রসেনানী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ খুলনায় হাতপাখার সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির জরুরি বৈঠক সার্বিক উন্নয়ন ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই: হাফিজ ফখরুল ইসলাম ফরিদপুরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর প্রচারণার গেট ও ব্যানার ভাঙচুর  জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরেই গণভোট দিতে হবে: এ টি এম মাছুম জামায়াত আমিরের আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যিনি খালেদা জিয়াসহ ৯ নারী পেলেন বিএনপির মনোনয়ন ২৩৭ আসনে বিএনপির ধানের শীষ পেলেন যারা নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলায় মতিউর রহমান আকন্দ নিন্দা বস্ত্রহীন ঘুমানোর হুকুম কী ?

রমজানের প্রথমদিন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

rikshaআবদুল্লাহ মারুফ : রমজানের প্রথমদিন ছিলাম প্রিয় প্রতিষ্ঠান জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগে। সারাদিন থেকে তারাবির সময় নামাজ পড়াতে গিয়েছিলাম মসজিদে। কাকরাইল। 'দারুল উলূম কাকরাইল' মাদরাসা মসজিদ।

মালিবাগের কাছে হওয়ায় ইচ্ছে ছিলো প্রতিদিন মাদরাসায় চলে আসার। কিন্তু এখন দেখি সুযোগ হয়ে ওঠে না। তাই কাছে হলেও প্রতিদিন আসা যায় না। আজকে সেহরি খাওয়ার সময় পাকাপোক্ত নিয়ত করলাম মাদরাসায় যাবো। যেমন ইচ্ছা তেমন কাজ। বাবর ভাইকে বলে ফজরের আগেই রওয়ানা দিলাম মালিবাগের দিকে। একা একা। রাস্তায় এসে দাঁড়ালাম গাড়ির জন্য। কিন্তু দূরপাল্লার ট্রাক ও প্রাইভেটকার ছাড়া সাধারণ কোন পরিবহন দেখা যাচ্ছে না এখন। কিছুক্ষণ বন্ধু পরিবন বা সুপ্রভাত এর জন্য অপেক্ষা করে বুঝলাম লাভ নেই। এখন দাঁড়িয়ে থাকা অনর্থক। ফজরের নামাজ শেষ হওয়ার আগে কোন গাড়ি অাসবে না। হেঁটেই যেতে হবে আমাকে। অবশ্য ঢাকা শহরে হেঁটে যাতায়াতই ভালো। আরামদায়ক। তাই হাঁটতে লাগলাম।

রাস্তায় অনেক পথচারীকে পেলাম। মাথায় টুপি পরিধান করে ধীরপদে এগিয়ে যাচ্ছেন মসজিদের দিকে। মুখে আল্লাহ আল্লাহ জিকির ধ্বনি। কারও হাতে আবার লম্বাদানার তসবিহ। দৃশ্যটা আমার খুব ভালো লাগলো। আরেকটু এগিয়ে দেখতে পেলাম আরও একটি চমৎকার দৃশ্য। কয়েকজন রিক্সচালক সেহেরি খাচ্ছে রিক্সায় বসে। সম্ভবত কলা দিয়ে 'চিড়া' খাচ্ছে। রিক্সার সিটে বসে পরম অানন্দে, তৃপ্তিসহকারে তাদের এই সেহরি খাওয়া সত্যিই উপভোগ্য। চালকদের অধিকাংশই যুবক। তরুণ। বয়স্ক একজন তাদের তাড়া দিচ্ছে তাড়াতাড়ি খানা শেষ করতে। তাদের সেহরি খাওয়ার এই দৃশ্যটা আমাকে আন্দোলিত করলো। ভাবালো। মন থেকে বেরিয়ে এলো, হে আল্লাহ! তাদের সময়ের মধ্যে বরকত দাও। আয়রোজগারে বরকত দাও।

মালিবাগ মাদরাসা মসজিদে ফজরের নামাজ পড়লাম। নামাজ শেষে আমাদের রুমে গেলাম। সহপাঠী অনেকেই মাদরাসায় থেকে বিভিন্নস্থানে তারাবিহ পড়াচ্ছে। তাদের সাথে কথোপকথন হলো। গল্পালাপ হলো। আমার খুব ভালো লাগলো। সত্যি কথা কি, রুমের দরজা দিয়ে যখন প্রবেশ করি, তখন এত্তো ভালো লেগেছিলো (!) বুঝানো সম্ভব নয়। শিশুরা যেমন মায়ের কোলে গেলে সব ক্লান্তি ভুলে যায়। ভুলে যায় সব কষ্টক্লেশ। আমারও তেমন হলো। মনে হলো মাতৃক্রোড় ফিরে এলাম। এখন আমি সবচেয়ে নিরাপদ। সবচেয়ে সুখী।

আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /এইচএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ