শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কচুয়ায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও যুব মজলিসের নতুন কমিটি ঘোষণা কেবল নেতা পরিবর্তন করতে জুলাইয়ে ছাত্র-জনতা রক্ত দেয় নাই : শায়েখে চরমোনাই জুলাই চেতনার সাথে গাদ্দারি ইতিহাস ক্ষমা করবে না : নেজামে ইসলাম পার্টি  চাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্যানেল ঘোষণা হক্কানী আলেমদের পরামর্শে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জাতির জন্য কল্যাণকর: জমিয়ত আলোচনার মধ্যে কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল শনিবার ঢাকায় কচুয়ার উলামায়ে কেরামের মতবিনিময় সভা কুমিল্লার নূর মসজিদ মাদরাসায় একাধিক শিক্ষক নিয়োগ পিআর পদ্ধতি জনতা না চাইলে আমরাও আর দাবী করবো না: শায়েখে চরমোনাই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় বিপর্যয় অনিবার্য: মহাসচিব 

শুরুতে করোনারোধে চীনের অব্যবস্থাপনা: গোপন নথি ফাঁস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: উহানে করোনা মহামারির একেবারে শুরুর দিনগুলো চীন কিভাবে মোকাবিলা করেছিল সে সংক্রান্ত নতুন একটি গোপন নথি প্রকাশিত হয়েছে।

দ্য উহান ফাইলস শিরোনামের ১১৭ পৃষ্ঠার বিশদ ওই অভ্যন্তরীণ নথিটি হাতে পেয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন। ফাঁস হওয়া ওই নথিটিতে উঠে এসেছে, করোনা ঢেউয়ের একেবারে প্রথম দিকে চীনা কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার চিত্র।

এতে বলা হয়েছে, প্রথম দিকে নতুন করে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগেছে। হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা কিভাবে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত করেছিলেন, ধারাবাহিক তহবিল স্বল্পতা কিভাবে তদের কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল, সংশ্লিষ্ট কর্মীদের কাজ ও পরীক্ষা সরঞ্জাম সংক্রান্ত নানা তথ্য উঠে এসেছে এ প্রতিবেদনে।

উহানে কোভিড-১৯-এর প্রকোপ শুরু হওয়ার সময় কর্মকর্তারা কী জানতেন এবং তারা প্রকাশ্যে কী বলেছিলেন এ দুইয়ের মধ্যকার নানা অসঙ্গতিও উঠে এসেছে হুবেই-র প্রাদেশিক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের এসব গোপন নথিতে। ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগের অধ্যাপক উইলিয়াম শ্যাফনার বলেন, কর্মকর্তাদের ধারণা ছিল যে কোনও মুহুর্তে মহামারীটির প্রভাব কমে যেতে পারে। ফলে তখন তারা মোট আক্রান্তের কোনও তালিকা তৈরি করেনি।

‌‘অভ্যন্তরীণ নথি, দয়া করে গোপনীয়তা রক্ষা করুন’ এমন মার্ক করা ওই নথিতে দেখা হয়েছে, ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা পাঁচ হাজার ৯১৮টি নতুন সংক্রমণের কথা জানিয়েছিলেন।

ফাঁস হওয়া নথিতে বলা হয়, প্রাদুর্ভাবের প্রথম কয়েক মাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে গড়ে ২৩.২ দিন সময় লেগেছিল। ফলে সরকারের জন্য শনাক্তের নিয়মিত আপডেট না দিয়ে পুরনো সংখ্যা প্রচারের সুযোগ তৈরি হয়। জনস হপকিন্স সেন্টার ফর হেলথ সিকিউরিটির চিকিৎসক আমেশ আদালজা বলেন, ‘আপনি তিন সপ্তাহের পুরানো ডাটা দেখছেন এবং আজকের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছেন।’

৭ মার্চের মধ্যে সিস্টেমে উন্নতি হয়। তখন নতুন করে শনাক্ত হওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে ৮০ ভাগেরও বেশি ক্ষেত্রে একই দিনে সিস্টেমে রেকর্ড করা শুরু হয়।

চীনের ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ী, দেশটির কর্মকর্তারা কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের মাত্রা বুঝতে পারেনি। এটি একটি আন্তর্জাতিক সংকটে রূপান্তরিত হবে; এটি তারা অনুধাবন করতে পারেনি।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে এখন ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

মহামারির শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছিল, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পেছনে চীনের ভূমিকা রয়েছে। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাসকে চীনা ভাইরাস হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সূত্র: সিএনএন

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ