শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫


সিলেটের রায়হানের শরীরে ১১১ আঘাত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সিলেট মহানগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের কারণে নিহত রায়হানের ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।

গতকাল (১৭ অক্টোবর) রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মো. শামসুল ইসলাম এই রিপোর্ট হস্তান্তর করেন মামলার দায়িত্বে থাকা পিবিআই’র কাছে। রিপোর্ট অনুযায়ী রায়হানের শরীরে পাওয়া গেছে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন।

ফরেনসিক রিপোর্টে বলা হয়, অতিরিক্ত আঘাতের কারণে রায়হানের শরীরের মাংস থেতলে গেছে এবং রগ ফেটে গেছে। ওপর থেকে সেটা দেখা না গেলেও ভেতরে রগ ফেটে গিয়ে যে রক্তক্ষরণ (ইন্টারনাল ব্লিডিং) হয়েছে, তার কারণেই রায়হানের মৃত্যু হয়। ভয়ঙ্কর আঘাতের কারণে বারবার মুর্ছা গেছেন রায়হান, এরপরও তাকে উপর্যুপরি আঘাত করা হয়েছে।

আদালতের নির্দেশে ১৫ অক্টোবর সকাল ৯টায় রায়হানের মরদেহ তোলা হয়। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে বিকেলে তাকে আবার কবরস্থ করা হয়েছে।

রায়হানের মা সালমা বেগম বলেন, ডিউটি শেষে রাত ১০টায় রায়হানের ফেরার কথা থাকলেও মধ্যরাত পর্যন্ত ফেরেনি। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ভোর ৪টা ২৩ মিনিটে একটি নম্বর থেকে (০১৭৮ ৩৫৬১১১১) কল করে ১০ হাজার টাকা নিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে যেতে বলা হয়। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ফাঁড়িতে যাওয়ার পর বলা হয়, রায়হান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই আমার ছেলে মৃত।

এ নিয়ে রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার কোতোয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্তের পর ওই ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত এবং আরো তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। বরখাস্তকৃত অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন- ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) তৌহিদ মিয়া, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাশ ও হারুনুর রশীদ। প্রত্যাহার করা তিন জন হলেন- এএসআই আশীক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজীব হোসেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ