শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫


মানুষ হই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবু তালহা রায়হান।।

কালের পালাবদলে পৃথিবী বদলে গেছে অনেক। বদলেছে মানুষ সকলও। কেউ কারো নয়, সবাই যে যার। আগে বলতাম মানুষ মানুষের জন্য। এখন বলতে হয় মানুষ স্বার্থের জন্য, স্বার্থ মানুষের জন্য। এভাবেই চলছে স্বার্থপর সমাজ, এপৃথিবী। মহান রব্বে কারীম মানুষকে দিয়েছেন তাঁর সৃষ্টি জগতের শ্রেষ্ট মর্যাদা। তাই মানুষ জাতিকে নিয়ে মাঝে-মধ্যে বড় কৌতূহল জাগে। খুব জানতে ইচ্ছেকরে 'মানুষ কে? মানুষ কী? কেন তাঁর মাথায় শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট?

মানুষ কাকে বলে? কী করলে মানুষ হওয়া যায়? শুধু মানুষের ঘরে জন্মগ্রহণ করলেই কি মানুষ হওয়া যায়? প্রশ্নগুলো এখন কোটি টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তরও রয়েছে- তবে বিবিধ। মানুষ শব্দটি এসেছে মনুষ্য থেকে। মানুষের সংজ্ঞায়নে বলা হয়েছে “যার মধ্যে মনুষ্যত্ব আছে সে-ই মানুষ।" আর মনুষ্যত্ব হলো মানুষের চিরাচরিত শাশ্বত স্বভাব বা গুণ। যেমন: দয়া-মায়া, ভালোবাসা, পরোপকারিতা, সহানুভূতি, সম্প্রীতি, ঐক্য ইত্যাদি। যুগে যুগে মানবজাতি তাদের বাস্তব জীবনে এই গুণগুলোর যথাসাধ্য প্রয়োগ ঘটিয়েছে। মানুষ হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করেছে। তবে সবাই নয়...

ভালো-মন্দ,-স্বার্থবাদি দু'ধরণের মানুষেরই পদচারণা ঘটেছে নিখিল এ ধরণীতে। তারা সকলেই মানবতা-মনুষ্যত্বকে প্রতিষ্ঠা করে নিজেদেরকে মানুষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয় নি। যাদের কর্মকাণ্ডে মনুষ্যত্বের চিরন্তন-সনাতন প্রতিফলন ঘটেনি, তারা মনুষ্যত্বহীন, তথা ধর্মহীন। আর ধর্মহীন মানবসন্তানকে কখনই মানুষ বলা যায় না, মানুষ নামের মর্যাদা তার জন্য শোভা পায় না।

যারা কাজে-কর্মে মনুষ্যত্বের পরিচয় বহন করতে পারে কেবল তারাই মানুষ নামে পরিচিত হবার যোগ্য। তাদের সম্মান অতি উচ্চ। স্বয়ং স্রষ্টার গুণ প্রকাশিত হয় তাদের মধ্য দিয়ে। জগতে তারা নন্দিত হন ধার্মিক বা ধর্মাপরায়ণ বলে। তাদের উপস্থিতি পৃথিবীকে আলোকোজ্জ্বল করে তোলে। ধর্মানুরাগীদের সঠিক মার্গ প্রদর্শন করে,আর অধার্মিকদের দণ্ড প্রদান করে। তারা পৃথিবীকে শান্ত রাখেন। মানুষ ও অমানুষ বলতে যথাক্রমে ধার্মিক ও অধার্মিককে বুঝায়। যে ব্যক্তি মনুষ্যত্ব বা মানবতাকে নিজের মধ্যে লালন করে সেই প্রকৃত ধার্মিক, অন্যদিকে যে ব্যক্তির মাঝে মানবতা নেই সে অধার্মিক।আসুন আমরা মানুষ হই!বিলুপ্তিপ্রায় মানবতার পুনরাগমন ঘটাই।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ