
ফেব্রুয়ারিতে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি, শিক্ষকদের হাজির থাকতে হবে
আওয়ার ইসলাম: আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত… ...
আওয়ার ইসলাম: প্রশ্ন: হযরত বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশংকায় মসজিদের জামাত তরক করা যাবে কি? যদি মসজিদে না গিয়ে বাড়িতে ফরজ নামায আদায় করি, তাহলে কি কোনো গুনাহ হবে? জানালে উপকৃত হবো৷
উত্তর: পুরুষের জন্য মসজিদে গিয়ে জামাতের সহিত নামায আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা৷ বিনা কারণে তরক করা মাকরুহে তাহরীমী৷ তবে কোনো ওযরের কারণে জামাত তরক করা জায়েয আছে৷ অসুস্থ্য ব্যক্তির জন্য বা অসুস্থ্য হবার আশংকায় মসজিদে না গিয়ে বাড়িতে নামায পড়া জায়েয৷ বর্তমান প্রেক্ষাপটেও করোনা ভাইরাসের আশংকায় মসজিদে না গিয়ে ফরজ নামায বাড়িতে পড়তে পারবেন৷ তবে সুস্থ্য ও সবল ব্যক্তিদের জন্য মসজিদ ত্যাগ না করা উচিত৷
মসজিদ ও মসজিদের জামাত কোনো অবস্থাতেই বন্ধ করা যাবে না ৷ সল্পপরিসরে হলেও জামাত চালু রাখবে ৷ তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ৷ অর্থাৎ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধৌত করা। অন্যের স্পর্শ এড়িয়ে চলা। নাকে মুখে চোখে হাত না দেয়া। মাস্ক ব্যবহার করা ইত্যাদি।
হাদীস শরিফে রাসূলুল্লাহ সা: ওযরের কারণে নিজ গৃহে নামায আদায়ের অনুমতি দিয়েছেন,
عن نَافِعٌ، قَالَ: أَذَّنَ ابْنُ عُمَرَ فِي لَيْلَةٍ بَارِدَةٍ بِضَجْنَانَ، ثُمَّ قَالَ: صَلُّوا فِي رِحَالِكُمْ، فَأَخْبَرَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَأْمُرُ مُؤَذِّنًا يُؤَذِّنُ، ثُمَّ يَقُولُ عَلَى إِثْرِهِ: «أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ» فِي اللَّيْلَةِ البَارِدَةِ، أَوِ المَطِيرَةِ فِي السَّفَرِ
নাফি‘ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রচন্ড এক শীতের রাতে ইবনু ‘উমার (রাযি.) যাজনান নামক স্থানে আযান দিলেন। অতঃপর তিনি ঘোষণা করলেনঃ তোমরা আবাস স্থলেই সালাত আদায় করে নাও। পরে তিনি আমাদের জানালেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরের অবস্থায় বৃষ্টি অথবা তীব্র শীতের রাতে মুয়ায্যিনকে আযান দিতে বললেন এবং সাথে সাথে এ কথাও ঘোষণা করতে বললেন যে, তোমরা নিজ বাসস্থলে সালাত আদায় কর। সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৩২, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬৯৭৷
অন্যত্রে রাসূলুল্লাহ সা: সংক্রামক রোগীকে জনসমাগমে না আসতে সতর্ক করেছেন,
عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كَانَ فِي وَفْدِ ثَقِيفٍ رَجُلٌ مَجْذُومٌ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِنَّا قَدْ بَايَعْنَاكَ فَارْجِعْ»
আমর ইবনু শারীদ (রহঃ) সুত্রে তার পিতা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাকীফ গোত্রীয় প্রতিনিধি দলের মাঝে একজন কুষ্ঠ রোগী ছিলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাছে (সংবাদ) পাঠালেন যে, আমরা তোমাকে বায়আত করে নিয়েছি। তুমি ফিরে যাও।
-সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২২৩১ ৷
আরো দেখুন, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২১৮২৭, তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৭০৪০; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃ: ২৯৭ ৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন, মুফতী: জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া৷
-এটি