রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ ।। ২ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৭


পিআর জনগণ না চাইলে জামায়াত সেটা মেনে নেবে: পরওয়ার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, পিআর বুঝি না এই কথা কোনো রাজনৈতিক নেতা বা দায়িত্বশীলের কথা হতে পারে না। এই পদ্ধতি জনগণ চায় কি না, সেটা জুলাই চার্টারে অন্তভুক্ত করে গণভোটে দিয়ে দেওয়া হোক। জনগণ যদি চায় তবে সবাইকে মানতে হবে। আর জনগণ যদি না চায় জামায়াতে ইসলামী সেটা মেনে নেবে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) ডুমুরিয়া বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগ ও কুলটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ভোটার সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

গোলাম পরওয়ার বলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য গঠিত হয় বিভিন্ন সংস্কার কমিশন। কমিশনগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ১৬৬টি প্রস্তাবের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হন। দীর্ঘ আলোচনার পর ৮৪টি প্রস্তাব সিদ্ধান্ত আকারে গৃহীত হয়। অনেকগুলো প্রস্তাবের সঙ্গে কতিপয় রাজনৈতিক দল ভিন্নমত পোষণ করায় সেগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, সরকার জুলাই জাতীয় ঘোষণাপত্র ও জুলাই জাতীয় সনদ প্রস্তুত করেছেন। দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল জুলাই জাতীয় ঘোষণাপত্র ও জুলাই জাতীয় সনদে প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ তাদের পরামর্শ সরকারের কাছে উপস্থাপন করে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরাবরই জুলাই জাতীয় সনদকে আইনগত ভিত্তি দেওয়ার বিষয়ে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ইতোমধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতিমুক্ত গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়ে আসছি। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ, ভোটকেন্দ্র দখল, পেশিশক্তি প্রদর্শন ও ভোটের বিভিন্ন অনিয়ম ও অপতৎপরতা বন্ধ, কোয়ালিটি-সম্পন্ন পার্লামেন্ট এবং দক্ষ আইনপ্রণেতা তৈরিসহ প্রতিটি ভোট পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য জোর দাবি জানিয়ে আসছি। আমাদের দাবি বর্তমানে জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। জনগণের দাবিসমূহ কার্যকর করার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। এমতাবস্থায় জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও জবাবদিহিতামূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্ররূপে গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্লা, ডুমুরিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা মোক্তার হোসেন, নায়েবে আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান ও গাজী সাইফুল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আব্দুর রশিদ, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা ফরহাদ আল মাহমুদ, ডুমুরিয়া উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি আবু তাহের, পশ্চিম শাখা সভাপতি শামিদুল হাসান লিমন, উপজেলা হিন্দু কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ মণ্ডল, জামায়াত নেতা আব্দুল গনি খান, শেখ জালাল উদ্দীন, শেখ মোসলেম উদ্দীন, হাফেজ মঈন উদদীন, আবদুল হান্নান, আবুল হোসেন, মাওলানা আব্দুস সোবহান, ফরিদ হোসেন, আবু সুফিয়ান, আলমগীর কবির, নাজমুল হোসেন প্রমুখ।

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ