বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমিরে শরীয়ত আল্লামা আবু জাফার কাসেমী বলেছেন জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও জুলাই সনদের গনস্বীকৃতির জন্য গণভোট একসাথেই করা হোক। কারণ স্থানীয় সরকার অচল হয়ে আছে তাকে সচল করা খুবই জরুরী। স্থানীয় সরকার নির্বাচন না হওয়ার কারণে কোন প্রতিনিধি না থাকায় সাধারণ জনগণ গন ভোগান্তিতে ভুগছে। জনগণের ভোগান্তি কমানোর জন্যই স্থানীয় সরকার নির্বাচন দ্রুত করা আবশ্যক। তাই জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা ও জুলাই সনদের গণ স্বীকৃতির গণভোট একই সাথে করা উচিত। ভিন্নভাবে করতে গেলে দেশের অর্থ অপচয় হবে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই একসাথে নির্বাচনের ব্যাবস্থা করলে দেশের ও জনগণের উপকার হবে।
আজ ৯ অক্টোবর ২০২৫ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মজলিসে আমেলার ( কার্যনির্বাহী কমিটির) মাসিক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকার কারণে সরকারি অফিস-আদালতে ধীরগতিতে কাজ চলছে জনগণ তাদের ন্যায্য অধিকার ঠিকমতো পাচ্ছে না রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় হচ্ছে জনগণের ক্ষতি হচ্ছে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত সরকারি অফিস আদালত সক্রিয় করা এবং দ্রুত জাতীয় নির্বাচনে ব্যবস্থা করে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। তাহলে প্রমাণ হবে নির্বাচন কমিশন দক্ষ অভিজ্ঞ ওনিরপেক্ষ। নির্বাচনের কমিশনের ত্রুটিগুলো সামনে ভেসে আসবে উঠবে।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ৫৮/১এ পুরানা পল্টন ঢাকায় দলের আমীরে শরিয়ত আল্লামা আবু জাফর কাসেমীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর আলহাজ্ব মুহাম্মাদ আজম খান. মাওলানা আবুল কাসেম কাসেমী. মাওলানা আব্দুল কাদের কাসেমী. মাওলানা সাঈদুর রহমান. মহাসচিব মুফতী ফখরুল ইসলাম. মাওলানা মুহাম্মাদ হোসাইন আকন্দ. মাওলামা আব্দুর রহিম কাসেমী. মাওলানা আলী আকবর. মাওলানা কামালুদ্দীন আশরাফ. মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ খান জাফরী. মাওলানা হাসান আল হাবীব.মাওলানা গাজী আহমদ আব্দুল্লাহ মুসা ও মাওলানা আবু দারদা প্রমুখ
এলএইস/