জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেছেন, “১৯৪৭, ১৯৭১ এবং ২০২৪ সালের শহীদদের রক্তের সাথে যারা বেঈমানি করবে তারা জাতির গাদ্দার। আমরা ইসলামের জন্য, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য রাজনীতি করি।”
তিনি আরও বলেন, “১৯৭১ সালে এই দেশের সর্বস্তরের মানুষ জীবন দিয়ে দেশকে মুক্ত করেছে। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করেছে। আওয়ামী লীগ ‘পালাব না’-‘পালাব ন ‘ বললেও ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তবে তাদের রেখে যাওয়া মতাদর্শ আজও জাতির জন্য হুমকি হয়ে আছে।”
রবিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের উদ্যোগে পৌরশহরের দক্ষিণ বাজারে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা শায়খ রমিজুদ্দীন এবং সঞ্চালনা করেন সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মুফতি হাসান আহমদ।
কর্মী সম্মেলনে প্রধান মেহমান ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি মুফতি মুজিবুর রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও মৌলভীবাজার-১ আসনের জমিয়ত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল ইসলাম।
মাওলানা আফেন্দী আরও বলেন, “ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনা ছাড়া ইসলাম পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রেও ইসলামের সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে। যারা বলে ইসলামের সাথে রাজনীতির সম্পর্ক নেই, তাদের বক্তব্য আমরা প্রত্যাখ্যান করি।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফয়যুল হাসান খাদিমানী ও সাহিত্য সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মালিক ক্বাসিমী।
এছাড়া বক্তব্য দেন উপজেলা জমিয়তের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মাওলানা মঈন উদ্দিন, কুলাউড়া উপজেলা জমিয়তের সেক্রেটারি মাওলানা নিজাম উদ্দিন, জেলা যুব জমিয়তের সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুর রহমান, উপজেলা যুব জমিয়তের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবিদুর রহমান, শ্রমিক জমিয়তের উপজেলা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহিম এবং জেলা ছাত্র জমিয়তের সভাপতি হাফিজ ফাহিম আহমদ প্রমুখ।
এমএইচ/