জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, সরকারের চিন্তা হলো কী করলে এনসিপির সুবিধা হবে। কী করলে তার অনুগত দলগুলোর সুবিধা হবে। তারা এগুলো নিয়ে ব্যস্ত। এই যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যেসব ঘটনা ঘটছে সরকার এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করছে? করে নাই কেন? একটা দেশের সবচেয়ে বড় 'মাস্তান' হলো সরকার।
সরকারের সমস্ত জায়গায় লোক আছে। তারা চাইলে এগুলো কন্ট্রোল করতে পারে না? যদি না পারে তাহলে বুঝতে হবে— সকল পর্যায়ে প্রশাসনের ওপর তার কোনো কন্ট্রোল নাই অথবা তার সে যোগ্যতাই নাই। তারা জানেই না কী করতে হবে।
সম্প্রতি এক টেলিভিশনের টকশোতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ কামাল বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের রোষের কারণে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। এখন তারা দেখছে যে এই ক্ষমতাটা নিয়ে যারা দেশ চালাচ্ছে তাদের প্রতি জনগণের যে প্রত্যাশাটা ছিল সেই প্রত্যাশাটা আগের অবস্থায় আর নাই। মানুষের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। যদি হতাশা বাড়ে এই সুযোগটা বিপক্ষরা নিতেই পারে।
যারা ক্ষমতা থেকে পতিত হয়েছেন তারা কি নানাভাবে চেষ্টা করবেন না ফিরে আসার জন্য? করবেন। তারা নানাভাবে চেষ্টা করতেছেন।
তিনি বলেন, তাদের কী কী আছে এখন দেখেন— তাদের হাতে অপরিমিত অর্থ আছে। তারা দেশ থেকে লুটপাট করে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে গেছে। যারা বিদেশে গেছে খায় কী? ইন্ডিয়ায় গেছে খায় কী? ইন্ডিয়ায় তো চাকরি করতে পারবে না।
দুই এক পুরুষ খাইতে পারবে এমন টাকা তাদের আছে। কাজেই তাদের হাতে অপরিমিত অর্থ আছে। আর দ্বিতীয়ত হলো, এই দেশেও আওয়ামী লীগের কিছু নীরব সমর্থক আছে। যারা যেতে পারে নাই মাঠ পর্যায়ের। মিড লেভেলে কিছু কর্মী আছে যারা সুবিধা পাচ্ছিল তারা আবার সুবিধা ফিরে পেতে চায়। এরকম হতেই পারে। টাকা দিলে কাঠের পুতুলও জিহ্বা নাড়ে। কাজেই ওখান থেকে টাকা দিলে তারা এখানে অনেকেই মাঠে নামবে। এটা খুব অস্বাভাবিক কিছু না।
মাসুদ আরো বলেন, এখন এগুলো দেখে আমরা কী করব? আমরা কি ভীত হব? আমরা কি গর্তে লুকাবো? নাকি আমরা সরকারকে বলবো তোমরা এটাকে প্রতিহত করো। এখন সরকার প্রতিহত করতে পারছে না। সরকার ব্যস্ত অন্য কিছু নিয়ে। সরকার তো এগুলো নিয়ে ব্যস্ত না। আইন শৃঙ্খলা যেটা করলে দেশের মানুষের সুবিধা হবে সরকার কি ওইটা করতেছে? করতেছে না।
এসএকে/