শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫ ।। ৮ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৯ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
সময় টিভির সাংবাদিকদের ওপর হামলায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নিন্দা ডাকসু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হলে সব জানিয়ে দেব: ঢাবি ভিসি নয়া দিগন্তের সাবেক সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনের ইন্তেকাল এসএসসি পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠান সম্পন্ন  কাতারে বাংলাদেশি কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিলো ইসলামী আন্দোলন নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও সচেতনতায় গঠিত ‘ইনসাফ’-এর আত্মপ্রকাশ চার বিভাগে অতিভারি বর্ষণের শঙ্কা দ্বিপক্ষীয় সফরে ঢাকায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ‘‌কচুয়াকে দাওয়াতি কার্যক্রমের মডেল হিসেবে গড়তে চাই’ গোপালগঞ্জের যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে আহত ২০

পিআর পদ্ধতি সংবিধানে নেই, সংবিধানের বাইরে যেতে পারি না: সিইসি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, আনুপাতিক পদ্ধতি বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংবিধানে নেই। সংবিধানের বাইরে আমরা যেতে পারি না। এটা নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। আমি এর মধ্যে ঢুকতে চাই না। যদি আইন পরিবর্তন হয় তাহলে হবে।

শনিবার সকাল ১০টায় রাজশাহী আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আগে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন হবে কি হবে না, এ নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের ভেতর আমরা যেতে চাই না। প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রমজানের আগে যাতে নির্বাচন হয় তার জোর প্রস্তুতি চলছে।

তিনি বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ হয়ে গেছে। ভোটের জন্য কেনাকাটা এগিয়ে চলছে। সীমানা নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করেছি। আগামী রোববার থেকে নির্বাচনী সীমানার শুনানি শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শুনানি চলবে।

এ এম এম নাসির উদ্দীন আরও বলেন, স্ট্রাইকিং ফোর্স নয়, সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরা কাজ করছি। সেনাবাহিনী যাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত হয় সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। জেলা প্রশাসক বা পুলিশ সুপার যারা এর আগে নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন, তাদের পদায়নের চিন্তা নেই।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, ভোট আসতে আসতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। যারা বাক্স দখল করার স্বপ্নে বিভোর, তাদের স্বপ্নভঙ্গ হবে। যারা অস্ত্র বাজি করে ভোটে জিততে চাইবেন তাদের জন্য দুঃসংবাদ। ভোটকেন্দ্র দখলের ইতিহাস ভুলে যান। আমরা কঠোর অবস্থানে থাকবো। ভোটকেন্দ্র দখল করলে পুরো ভোট বাতিল করা হবে।

বিগত সরকারের আমলে দায়িত্ব পালন করা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের অধীনে ৫৭০০ কর্মকর্তা রয়েছে। তারা আগেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এদের কোথায় পাঠাবো। তবে যারা স্বপ্রনোদিত হয়ে বিগত নির্বাচনে অনিয়ম করেছিল সেসব নির্বাচন কর্মকর্তাদের রাখা হবে না।

বর্তমান সরকার চাপ দিলে পদত্যাগ করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন নিয়ে আমাকে এখন পর্যন্ত কোনও চাপ দেয়নি, আমাকে চাপ দিলে আমি পদত্যাগ করব, চেয়ারে থাকব না।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, লীগের এই মুহূর্তে কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই। তাদের বিচার চলছে। বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। দেখা যাক বিচারে কী হয়।

পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সভায় রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন বিষয়ে নানা দিকনির্দেশনা দেন।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ