সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষনে সরকার একটি মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে। এ পরিকল্পনার আওতায় পর্যটন নিয়ন্ত্রণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং স্থানীয়দের জন্য বিকল্প আয়ের সুযোগ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বর আজ শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “দ্বীপটির প্রকৃতি পুনরুদ্ধার ও টেকসই ব্যবস্থাপনায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবেশ ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত এক বছরে পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বেশ কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে রয়েছে:
সারা দেশে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধে কঠোর অভিযান এবং বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগ সরবরাহে যৌথ প্রকল্প।
৮৩০টি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে ফেলা ও সাভার-আশুলিয়াকে দূষিত এলাকা ঘোষণার উদ্যোগ।
শব্দ ও বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ।
গাজীপুরে ৯টি দূষণকারী কারখানার সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং সব পলিথিন কারখানা বন্ধ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের জন্য ৩৭টি নতুন অফিস ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়া।
এছাড়াও, পাহাড় ও বনভূমি সংরক্ষণ, জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় ৩৫১ কোটি টাকার ৪১টি প্রকল্প, এবং বন্যপ্রাণী রক্ষায় ১৫৯টি এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি) গঠনসহ বহু কার্যক্রমের উল্লেখ করা হয়।
বেদখল বনভূমি পুনরুদ্ধার, ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি রোপণে নিষেধাজ্ঞা, ও বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েও কাজ চলছে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব পদক্ষেপ দেশের জলবায়ু সহনশীল ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এসএকে/