এবারের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধিতে এআই-এর অপব্যবহার রোধে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নবম সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘এআই মিসইউজের ব্যাপারে আমরা কঠোরভাবে এখানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। প্রবলেমটা হচ্ছে মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশন, ম্যাল ইনফরমেশন। এগুলো প্রতিহত করার জন্য আমরা এটা আচরণবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করেছি।’
তিনি জানান, ‘আচরণবিধিটা শুধু প্রার্থী এবং দলের জন্য। কিন্তু এই এআই এর ব্যবহার তো এদের বাইরেও লোকজন করবে। শুধু রাজনৈতিক দল আর প্রার্থীরা করবে না। দেশের ভেতর থেকেও করবে, দেশের বাইরে থেকেও করবে।’
তিনি বলেন, ‘এগুলো প্রতিহত করার জন্য আমরা একটা কমিটি ফর্ম করেছি, ইতোমধ্যে তারা কাজ শুরু করেছেন। কীভাবে কী করতে হবে তারা সেটা নিয়ে কাজ করছে। আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমরা চেষ্টা করব যতটুকু সম্ভব ব্যান্ডউইথ না কমিয়ে কোন ধরনের সেবাকে বিঘ্ন না ঘটিয়ে আমরা সফলভাবে নির্বাচনটা করতে পারি। একান্তই বাধ্য না হলে নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিকভাবে এখনো পর্যন্ত কোন ইচ্ছা নাই যে কোন সেবা বা কোন প্ল্যাটফর্মকে লিমিট করার।’
ড্রোন ব্যবহারে আইন :
নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো ধরনের ড্রোন ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘ড্রোন এবং কোয়ার্ডকপ্টার। এ ধরনের কোনো কিছু কোনো প্রার্থী বা তার এজেন্ট বা অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের ব্যবহার করার কোনো প্রয়োজনীয়তা যদি আসে তখন আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। গণমাধ্যমও পারবে না।’
নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার আইন :
নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়ে ইসির ব্রিগেডিয়ার সানাউল্লাহ বলেন, ‘এটা নিয়েও আমরা কাজ করছি। এটা নিয়ে অলরেডি আমরা তিন চারটা মিটিং করেছি। একদিনের জন্য আউটসোর্স করে ভাড়ায়ও পাওয়া যায় না । আবার কেনাও যৌক্তিক নয়। ৪৫ হাজার কেন্দ্রে হিসাব করে দেখেন কতগুলো সিসি ক্যামেরা লাগবে। এটা কিনে আপনি রাখবেন কীভাবে এবং এটা জাস্টিফাই করবেন কীভাবে অনেকগুলো প্রস্তাব এসেছে।
এমএম/