মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
নুরের ওপর সেনা-পুলিশ হামলা ন্যাক্কারজনক, নিঃশর্ত দুঃখপ্রকাশ করতে হবে: নাহিদ  পিআর ও জুলাই সনদ নিয়ে বাড়ছে বিরোধ, কোন পথে ইসলামি দলগুলো কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা ও আন্তর্জাতিক মহাসমাবেশ বাস্তবায়নে পরামর্শ সভা  আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় খেলাফত মজলিসের শোক আলেমে রাব্বানী ক্বারী তৈয়ব (রহ.)-এর স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মির্জা ফখরুলের হাতে ফুল তুলে দিলেন সারজিস ‘কোরবানির চামড়া লবণজাত করে ক্ষতিগ্রস্ত মাদরাসার পাশে দাঁড়ায়নি সরকার’  আওয়ামী ‘দোসরদের’ রাজনীতি নিষিদ্ধে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকসুতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

সিভিল ড্রেসে আসামি ধরতে পারবে না পুলিশ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘পুলিশের কোনো সদস্য সিভিল ড্রেসে আসামি ধরতে পারবেন না। পুলিশে তেলবাজিব্যবস্থা ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নয়নে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাকে জোরদার করতে হবে’

আজ মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় যশোর জেলার সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় এ কথা বলেন তিনি। শহরের কালেক্টরেট ভবনের জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনকে গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এখন পুরোদমে কাজে নেমে পড়তে হবে।

৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নজরে রাখতে হবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলতে হবে। মাদক বন্ধে অ্যাকশন না নিলে চাকরি থাকবে না।

আমরা নিরাময়কেন্দ্র খুলতে চাই না, মাদক বন্ধ করতে চাই। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর পুলিশে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। বদলি বাণিজ্যও নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’ এ সময় তিনি ওসিদের ঘুষ নেওয়া বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

তদবির প্রথা এখনো বন্ধ হয়নি, অনেকেই তদবির করেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা হওয়ার পর আমার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সংখ্যা বেড়ে গেছে।

যাদের অনেককে আমি চিনিও না। ফলে আমার নামে কেউ তদবির করলে প্রথমে চা-নাশতা খাওয়াবেন। তারপর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।’

মতবিনিময়সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, যশোর সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পুলিশের খুলনা বিভাগের ডিআইজি মো. রেজাউল হক, জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহানসহ সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 এর আগে আজ মঙ্গলবার সকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ তিনজন উপদেষ্টা যশোরের ভবদহ এলাকায় পরিদর্শনে যান এবং ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ