বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১০ পৌষ ১৪৩২ ।। ৫ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামপন্থীদের ‘একবাক্স নীতি’ কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? শহীদ হাদির আদর্শ সামনে রেখে মিশরে 'আজহার আফকার'র যাত্রা আবারও বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের এভারকেয়ার থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তারেক রহমান সাহিত্য সভায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন মহানবী (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনা করবো: তারেক রহমান ১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে যা বললেন পীর সাহেব চরমোনাই

আসিফ মাহতাবের অব্যাহতিদেশ তুলে স্বপদে বহালের আহ্বান ইসলামী যুব আন্দোলনের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

‘ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোসফির লেকচারার জনাব আসিফ মাহতাব অসুস্থ ট্রান্সজেন্ডার সংস্কৃতির বিরোধিতা করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন তাকে অধ্যাপনায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা নীতি বহির্ভূত। বিশ্ববিদ্যালয় একটি জাতির উচ্চতর মতাদর্শ চর্চা কেন্দ্র। এখানে সকল মতাদর্শ নিয়ে গবেষণা হবে এবং উন্নত ও উপকারী আদর্শকে প্রমোট করা হবে। কিন্তু সেখানে একটি অনৈতিকতার বিরুদ্ধে কথা বলে যদি চাকরি হারাতে হয় তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য ক্ষুন্ন হয়। তাছাড়া এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অবশ্যই দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে অগ্রাধিকার দিবে এবং প্রচার করবে। অথচ ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিমা পতিত রুচিহীন কর্মকান্ডকে প্রমোট করছে।’

আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন ও সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার জনাব আসিফ মাহতাবের অনৈতিক অব্যাহতির প্রতিবাদে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতি নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন। 

বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মত আরো কতিপয় প্রতিষ্ঠান ও কথিত বুদ্ধিজীবিরা তৃতীয় লিঙ্গের সাথে ট্রান্সজেন্ডারকে গুলিয়ে হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সরকারের বৈধতা নেয়ার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। এদেশে সমকামীতার প্রসারণ কল্পে তারা কাজ করে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে দেশকে আরো রুচিহীনতা, অভাব ও আত্মহত্যা প্রবণতার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। তারা প্রকৃত তৃতীয় লিঙ্গের লোকদের পক্ষে কথা না বলে বরং বিদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে আর্থসামাজিক ভাবে দেশটাকে অন্তসারশূন্য বানানোর পাঁয়তারা করছে। 

নেতৃদ্বয় ৪টি জোরালো দাবি উপস্থাপন করে বলেন, আমরা সুস্পস্ট ভাবে বলছি, 
ক. অনতি বিলম্বে জনাব আসিফ মাহতাবকে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়র স্বপদে বহাল করত হবে। 
খ. এবং ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনকে এলজিবিটিকিউ মতাদর্শের পক্ষে মদদ দেয়ার অপরাধে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে এই আদর্শ পরিহার করতে হবে। 
গ. সরকারকে সপ্তম শ্রেণীর সমাজ বইয়ের বিতর্কিত ‘শরীফ থেকে শরিফা’ গল্প বাদ দিয়ে ইসলামী আদর্শের গল্প স্থাপন করতে হবে। 
ঘ. এবং প্রকৃত তৃতীয় লিঙ্গের লোকদের জন্য বিশেষায়িত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেশ থেকে অভাব ও দারিদ্র মুক্তির উদ্যোগ নিতে হবে। 

অন্যাথায় পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রাকের সকল অসামাজিক সংস্কৃতি এবং এই অবৈধ সরকারের নীতিহীন কর্মকান্ড রুখে দেয়া হবে।

এছাড়াও বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় সর্ব সাধারনকে ব্রাকের সকল প্রতিষ্ঠান বয়কটের আহ্বান জানান। 

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ