বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৭ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
এক লাফে ভরিতে ৮৩৮৬ টাকা কমল স্বর্ণের দাম জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াতে ইসলামী ১৮তম জাতীয় তাফসিরুল কুরআন মাহফিল ২০ ও ২১ নভেম্বর ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বিশ্বের প্রভাবশালী ইহুদিদের চিঠি  গণভোট নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে জটিলতা তৈরির অভিযোগ জামায়াতের ‘পাঁচ দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে’ জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞদের সাথে ঐকমত্য কমিশনের সভা শিশু-কিশোরদের সুরক্ষা দিতে ছয় দফা সুপারিশ চিকিৎসকদের  ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, কারাগারে অভিযুক্ত বুয়েট শিক্ষার্থী  ওআইসি সদস্য দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান উপদেষ্টা রিজওয়ানার

বিকৃত নামে ডাকা: মজা নাকি মারাত্মক গুনাহ?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রশ্ন:

বর্তমানে একটি দুঃখজনক প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে—মানুষ একে অপরকে বিকৃত নামে ডাকছে, বিশেষ করে যখন কারো মতাদর্শ বা চিন্তাধারা ভিন্ন হয়। কেউ ভিন্নভাবে চিন্তা করলেই তাকে বিদ্রূপ করে, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বা বিকৃত নামে অপমান করার প্রবণতা বাড়ছে। ইসলামের দৃষ্টিতে এ ধরনের আচরণ কেমন?

এম মাআয।

উত্তর:

ইসলামের দৃষ্টিতে কাউকে বিকৃত নামে ডাকা একটি গুনাহের কাজ। এটি মজা বা দুষ্টুমির ছলেও বৈধ নয়। কারও ব্যক্তিত্ব ও সম্মানে আঘাত করে এমন কোনো আচরণ ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেন:

 یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا یَسۡخَرۡ قَوۡمٌ مِّنۡ قَوۡمٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّكُوۡنُوۡا خَیۡرًا مِّنۡهُمۡ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنۡ نِّسَآءٍ عَسٰۤی اَنۡ یَّكُنَّ خَیۡرًا مِّنۡهُنَّ ۚ وَ لَا تَلۡمِزُوۡۤا اَنۡفُسَكُمۡ وَ لَا تَنَابَزُوۡا بِالۡاَلۡقَابِ ؕ بِئۡسَ الِاسۡمُ الۡفُسُوۡقُ بَعۡدَ الۡاِیۡمَانِ ۚ وَ مَنۡ لَّمۡ یَتُبۡ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الظّٰلِمُوۡنَ ﴿۱۱﴾

"তোমরা একে অপরকে অপবাদসূচক নামে ডেকো না। ইমান আনার পর মন্দ নামে পরিচিত হওয়া গর্হিত কাজ।" সুরা হুজুরাত, আয়াত: ১১

বিশিষ্ট তাফসিরবিদ ইমাম তাবারি (রহ.) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন,

“বিকৃত নামে ডাকা মুমিনের জন্য জঘন্য কাজ, তা সে মজা করেই করুক বা অপমানের উদ্দেশ্যেই করুক।”

(তাফসিরে তাবরি, খণ্ড: ২২, পৃষ্ঠা: ৩০২)

যদি কেউ পূর্বে এমন গুনাহ করে থাকে, তবে তার উচিত—ক্ষমা চাওয়া ও সংশোধন হওয়া। কেননা, এটি একজন মুসলিম ভাইয়ের সম্মানহানির শামিল।

ইসলামী শিক্ষার আলোকে সমাজে সম্মান ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার জন্য এই ধরনের ভাষা ও আচরণ থেকে দূরে থাকা ফরজ-সদৃশ দায়িত্ব।

আল্লাহ তাআলা আমাদের জবান ও আচরণ হেফাজতের তাওফিক দিন। আমিন।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ