বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৭ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
এক লাফে ভরিতে ৮৩৮৬ টাকা কমল স্বর্ণের দাম জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াতে ইসলামী ১৮তম জাতীয় তাফসিরুল কুরআন মাহফিল ২০ ও ২১ নভেম্বর ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বিশ্বের প্রভাবশালী ইহুদিদের চিঠি  গণভোট নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে জটিলতা তৈরির অভিযোগ জামায়াতের ‘পাঁচ দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে’ জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞদের সাথে ঐকমত্য কমিশনের সভা শিশু-কিশোরদের সুরক্ষা দিতে ছয় দফা সুপারিশ চিকিৎসকদের  ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, কারাগারে অভিযুক্ত বুয়েট শিক্ষার্থী  ওআইসি সদস্য দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান উপদেষ্টা রিজওয়ানার

মাদরাসা রক্ষায় আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বিজেপি সরকার ওয়াকফ সংশোধন বিলের মাধ্যমে মাদরাসাগুলোর বিরুদ্ধে যে অভিযান অব্যাহত রেখেছে এর তীব্র নিন্দা করেছেন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের প্রধান মাওলানা সাইয়েদ আরশাদ মাদানী।  এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

গত সোমবার (১ জুন) উত্তর প্রদেশের আজমগড়ে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ 'তাহাফ্ফুজ-ই-মাদারিস' (মাদরাসা সুরক্ষা) সম্মেলনের আয়োজন করে। এই সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মাওলানা আরশাদ মাদানী উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন রাজ্যে মাদরাসা ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপনার বিরুদ্ধে সরকারের অভিযানের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি এই পদক্ষেপগুলোকে মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর গুরুতর আক্রমণ বলে অভিহিত করেন।

মাওলানা আরশাদ মাদানী বলেন, ‘মাদরাসা বন্ধ করার এই অভিযান মুসলমানদের সাংবিধানিক ও ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর একটি গুরুতর আক্রমণ।’

মাওলানা মাদানী আরও উল্লেখ করেন যে, সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও, মুসলিম-অধ্যুষিত সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে নির্বিচারে মাদরাসা, দরগাহ, ঈদগাহ এবং কবরস্থানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যারা মনে করেন মাদরাসা মানে শুধু বই পড়া-শেখা, তারা ভুল। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় মাদরাসাগুলোর ভূমিকা দেশের শিকড়ে গভীরভাবে প্রোথিত।’

জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এই পদক্ষেপগুলোকে অসাংবিধানিক বলে আখ্যায়িত করে এবং আদালতের মাধ্যমে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। মাওলানা মাদানী মাদরাসা প্রশাসকদের পরামর্শ দেন যে, তারা যেন তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ আইনি ও নিয়ন্ত্রক মানদণ্ড অনুযায়ী পরিচালনা করেন, যাতে ভবিষ্যতে সরকারি পদক্ষেপের মুখোমুখি না হতে হয়।

এই সম্মেলনের মাধ্যমে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে, তারা মাদরাসার পরিচয় ও অস্তিত্ব রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এই বিষয়ে তারা আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ