রবিবার, ২৫ মে ২০২৫ ।। ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ২৭ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
আবুল ফাতাহ কাসেমীর ‘ইসলামী অর্থনীতির মৌলিক ধারণা’ গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠিত পাকিস্তানে প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে নিহত অন্তত ১৯, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি আদালতে শরীরে আগুন দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যাচেষ্টা জেরুজালেমে সাইরেন, হুতির ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহতের দাবি সেনাদের মাওলানা ইসমাঈল বরিশালীর স্বাস্থ্যের উন্নতি মাদরাসা শিক্ষা উভয় জগতে সফলতার জন্য অপরিহার্য : ইআবি ভিসি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলনের সঙ্গে শায়খে চরমোনাইয়ের একাত্মতা নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা রয়েছে: খেলাফত আন্দোলন জিম্মি স্বজনদের প্রশ্ন ‘রাতের ঘুম হয় কীভাবে, মিস্টার নেতানিয়াহু?’ মুজাহিদ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি হলেন গিয়াস উদ্দিন খান

আরাফায় হাজিদের গরমের তীব্রতা থেকে বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

এ বছর এমন এক সময় হজ পালিত হতে যাচ্ছে, যখন সৌদি আরবের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে হজ পালনে ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় হাজিদের রক্ষা করতে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে

হাজিদের আরাম ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘কুলড রোডস’ এবং ‘ফ্লেক্সিবল রাবার রোডস’ প্রকল্পের সম্প্রসারণ করা হয়েছে।

২০২৩ সালে শুরু হওয়া কুলড রোডস ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের আওতায় এ বছর আরাফাত ময়দানে ৮৪ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে ঠান্ডা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৮২% বেশি। এই রাস্তাগুলোতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে, যা সূর্যালোক শোষণ কমিয়ে তাপমাত্রা প্রায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমাতে সাহায্য করে এবং সকালে সূর্যালোক প্রতিফলন ৩০–৪০% বাড়ায়। এর ফলে হাজিদের জন্য আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি হয় এবং শক্তি ব্যবহার ও বায়ু দূষণ হ্রাস পায়।

আর ২০২৪ সালে চালু হওয়া ফ্লেক্সিবল রাবার রোডস প্রকল্পের আওতায় এ বছর ৩৩% সম্প্রসারণ করা হয়েছে, যার ফলে নামিরা মসজিদ থেকে আল-মাশায়ের ট্রেন স্টেশন পর্যন্ত ১৬ হাজার বর্গমিটার এলাকা রাবারাইজড রাস্তায় রূপান্তরিত হয়েছে। এই রাস্তাগুলোতে পুনর্ব্যবহৃত টায়ার ব্যবহার করে তৈরি রাবারাইজড অ্যাসফল্ট ব্যবহার করা হয়েছে, যা হাঁটার সময় ধাক্কা শোষণ করে এবং পায়ের জয়েন্টে চাপ কমায়। বিশেষ করে বয়স্ক হাজিদের জন্য এটি উপকারী, কারণ হজের সময় পায়ের ও গোড়ালির আঘাতের ৩৮% সাধারণ রাস্তায় হাঁটার কারণে ঘটে।

এর বাইরে নামিরা মসজিদ থেকে মাশায়ের ট্রেন স্টেশন পর্যন্ত ১২০০ মিটার রাস্তায় গাছ লাগানো হয়েছে এবং এয়ার মিস্ট প্রযুক্তি ও পানির ঝর্ণা স্থাপন করা হয়েছে, যা বাতাসের গুণমান উন্নত করে এবং হাজিদের জন্য আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে।

তবে আশার কথা হলো, ২০২৫ সালের হজ, যা জুনের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে, আগামী ১৬ বছরের মধ্যে গ্রীষ্মের তীব্র তাপমাত্রায় অনুষ্ঠিত শেষ হজ হবে। ২০২৬ সাল থেকে ইসলামি চন্দ্র ক্যালেন্ডারের কারণে হজ ধীরে ধীরে বসন্ত ও শীতকালের দিকে সরবে, যা ভবিষ্যতের হাজিদের জন্য আরও আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করবে। সূত্র: গালফ নিউজ

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ