বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২ পৌষ ১৪৩২ ।। ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
মনোনয়ন না পেয়ে এবি পার্টিতে যোগ দিলেন জমিয়ত একাংশের নেতা বিজয় দিবসে খুলনা নগরীতে ইসলামী আন্দোলনের বিজয় র‍্যালি ও সমাবেশ বিজয় দিবসে বিভিন্ন উপজেলায় ইসলামী আন্দোলনের আলোচনা সভা ও র‍্যালি শান্তিতে নোবেল: মনোনয়ন পেলেন জাতিসংঘের প্রতিনিধি ও গাজার চিকিৎসকেরা বাংলাদেশ চলবে নতুন ব্যবস্থার রাজনীতিতে: জামায়াত আমির শীতে গাজায় নবজাতকের মৃত্যু, ত্রাণ বাধায় মানবিক সংকট আরও গভীর শীতে এক কাপ তুলসি চা আপনার যেসব উপকার করবে একাত্তরে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, তবে তা অর্থবহ হয়নি: চরমোনাই পীর ফিলিস্তিনিসহ ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ফরিদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশর এক বিশাল বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত 

অস্ট্রিয়া স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করার আইন পাস করলো

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মানবাধিকার সংস্থা এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও অস্ট্রিয়ায় স্কুলছাত্রীদের জন্য হিজাব নিষিদ্ধ করার আইন পাস করা হয়েছে। দেশের পার্লামেন্টে ১৪ বছরের কম বয়সী স্কুলছাত্রীদের জন্য হিজাব নিষিদ্ধকরণের আইনটি পাস হওয়ার ফলে সমাজে বিভাজন আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই আইন মুসলিম সম্প্রদায়কে আরো প্রান্তিক করে দিতে পারে। চলতি বছরের শুরুতে, দেশের রক্ষণশীল নেতৃত্বাধীন সরকারের উদ্যোগে এই আইন পাস হয়।

বৃহস্পতিবার ভোটের আগে ক্ষমতাসীন জোটের সদস্য লিবারেল নিয়সের সংসদীয় নেতা ইয়ানিক শেটি মন্তব্য করেছেন, এই আইনটি স্বাধীনতা সীমিত করার জন্য নয়, বরং ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য। তার দাবি, হিজাব শুধুমাত্র পোশাক নয়—অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটি মেয়েদের পুরুষের দৃষ্টি থেকে আড়াল করে।

দ্য গার্ডিয়ান জানার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই নিষেধাজ্ঞাটি আগামী সেপ্টেম্বরের নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর হবে। আইন ভঙ্গ করলে পরিবারকে শাস্তিস্বরূপ সর্বাধিক ৮০০ ইউরো জরিমানা করা হতে পারে।

বিরোধী গ্রীন পার্টি ভোটে একমাত্র বিরোধিতা করে এবং আইনটিকে সরাসরি সংবিধানবিরোধী উল্লেখ করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন সংস্থা বলছে, এই আইন মেয়েদের ক্ষমতায়ন করবে না, বরং অস্ট্রিয়ায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান বর্ণবাদী পরিবেশকে আরো তীব্র করবে।

মহিলা অধিকার সংগঠন আমাজোনের অ্যাঞ্জেলিকা অ্যাটজিঙ্গার বলেছেন, এই আইন মেয়েদের কাছে ভুল বার্তা পাঠাচ্ছে—তাদের শরীর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তাদের নয়।

এটি পিপলস পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকারের দ্বিতীয় হিজাব–নিষিদ্ধ উদ্যোগ। এর আগে ২০১৯ সালে ১০ বছরের নিচে মেয়েদের জন্য হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়, যা সাংবিধানিক আদালত বৈষম্যমূলক বলে বাতিল করে দেয়। এবার সরকার পূর্বের ভুলগুলি এড়িয়ে চলার প্রচেষ্টা করছে, তবে শেটি নিজেও স্বীকার করেছেন যে এই আইন আদালতে টিকবে কিনা তা নিশ্চিত নয়।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ