শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫ ।। ২ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :

সীমান্তে সহিংসতা নিয়ে কাতারে আলোচনা করবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পাকিস্তান আফগানিস্তানের ভেতরে বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ১০ জনকে হত্যার এক দিন পর কাতারে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে উভয় দেশ। শনিবার দোহায় এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এবং গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান জেনারেল আসিম মালিক বৈঠকে অংশ নিতে আজ দোহায় যাচ্ছেন বলে জানানো হয়।

অন্যদিকে আফগান তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘ইসলামিক আমিরাতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ ইয়াকুবের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল আজ দোহায় রওনা দিয়েছে।

দুই দেশের সীমান্তে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে সেনা, বেসামরিকসহ বহু মানুষ নিহত হওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে শুক্রবার গভীর রাতে আফগানিস্তান অভিযোগ করে, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি ভেঙে পাকতিকা প্রদেশে তিনটি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে। এক জ্যেষ্ঠ তালেবান কর্মকর্তা ফ্রান্সের সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে আমাদের ভূখণ্ডে বোমা হামলা চালিয়েছে। আফগানিস্তান এর প্রতিশোধ নেবে।

স্থানীয় হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) জানায়, হামলার এলাকায় ঘরোয়া টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া তিন ক্রিকেটার নিহত হয়েছেন। প্রথমে তারা আটজন নিহতের তথ্য দিয়েছিল, পরে তা সংশোধন করে তিনজন নিশ্চিত করে।

বোর্ড আরো জানিয়েছে, তারা আসন্ন ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করছে। যেখানে পাকিস্তানও অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

অন্যদিকে পাকিস্তানের এক জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, তাদের বাহিনী ‘টার্গেটেড প্রিসিশন এয়ারস্ট্রাইক’ চালিয়েছে আফগান সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায়। লক্ষ্যবস্তু ছিল হাফিজ গুল বাহাদুর গ্রুপ, যা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সহযোগী একটি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী।

ইসলামাবাদের দাবি, এই একই গ্রুপ উত্তর ওয়াজিরিস্তানে একটি সামরিক ক্যাম্পে আত্মঘাতী বোমা হামলা ও বন্দুক হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল।

ওই হামলায় সাতজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছিলেন। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক এই সংঘর্ষে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে, আর কাতারের বৈঠককে সেই উত্তেজনা প্রশমনের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সূত্র : টিআরটি ওয়ার্ল্ড

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ